শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শর্ত পূরণ করলেই প্রণোদনা

শর্ত পূরণ করলেই প্রণোদনা

করোনাকালীন সরকারের দেয়া প্রণোদনার শর্তগুলো পূরণ করলেই ব্যবসায়ীরা অর্থ পেয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি।

রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয় ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

করোনার সংকটকালীন গ্যাস, সার, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, নতুন করে বৃদ্ধির কারণে জনগণের ওপর কী ধরনের চাপ পড়বে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার এখান থেকে প্রাইজ বাড়ানোর কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, আমি এখনও জানি না। এ বিষয়ে আমি অবশ্যই জানব, যখন জানব তখন ব্যবস্থা নেব। আমার যা করণীয় সেটা অবশ্যই করব। আমাদের সরকার জনগণের সরকার। এ দেশের সব মানুষকে নিয়েই আমাদের চলাচল, আমি মনে করি কখনো এই চলার পথ বিঘ্নিত হবে না। আমরা ইনশাল্লাহ সবাইকে নিয়েই এগিয়ে যাবো।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, যেসব শর্তে আমরা ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিয়েছি, সেসব শর্ত পূরণ করলে তারা সেটি পেয়ে যাবেন। আমি মনে করি এখানে হয়তো কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি আছে। যদি এমন কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে এগুলো আমাকে দিলে আপনাদের ভালোভাবে জবাব দিতে পারবো।

অর্থমন্ত্রী জানান, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের মধ্যে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি আছে। করোনা সংক্রমণ রোধেই আমাদের এই প্রস্তুতি। কাজেই আমরা যতটা ভয় পাচ্ছি, ততটা ভয়াবহ কিছু হবে না। তিনি বলেন, সবসময় আমাদের সোশাল সেফটিনেট বিস্তৃত, আমরা সবসময় সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত।

আরও পড়ুনঃ  সিডিউল মেনেই চলবে জাহাজ

গতকাল রবিবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২য় এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩য় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক কমিটির অনুমোদনের জন্য ২টি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ৫টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ক্রয়ের প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি, সেতু বিভাগের ১টি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং জননিরাপত্তা বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয়-কমিটির অনুমোদিত ৫টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১,০৭৮ কোটি ৩৯ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮৯৫ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি হতে ব্যয় হবে ১,০৭০ কোটি ৭১ লক্ষ ১৮ হাজার ১৯৫ টাকা এবং বিশ্বব্যাংক ঋণ ৭ কোটি ৬৮ লক্ষ ২০ হাজার ৭০০ টাকা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সেখানে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উত্থাপিত ৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ৪টির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১. কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ০৯ অক্টোবর ২০২২ সময়ে নেদারল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ৭তম ইন্টারন্যাশনাল হর্টিকালচারাল ইক্সভিশন ইক্সপো-২০২২ বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন নির্মাণ কাজের ক্রয় প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদিত প্রস্তাবসমূহ হলো:

১. পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক “শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা” প্রকল্পের প্যাকেজ নং ডিপিএম-১ এর নির্মাণ কাজের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ২৪৯ কোটি ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৯১ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ময়মনসিংহ বিভাগে ১৮৬২ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

২. সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক “শরিয়তপুর-জাজিরা-নওডোবা (পদ্মা ব্রীজ সংযোগ সড়ক) উন্নয়ন” প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউপি-০১ এর পূর্ত কাজ এম/এস সালেহ আহমেদের নিকট থেকে ১২৪ কোটি ৮২ লক্ষ ৩০ হাজার ৫৫৯ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

৩. সেতু বিভাগের অধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ কচুয়া-বেতাগী-পটুয়াখালী-লোহালিয়া-কালাইয়া সড়কে পায়রা নদীর উপর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের পূর্ত কাজ জয়েন ভেঞ্চার অব সামহান (১) এবং মির আক্তার (২) এর নিকট থেকে ৬৪০ কোটি ৫৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮৪৫ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

৪. খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফেসিলিটিজ প্রজেক্টের আওতায় আধুনিক স্টিল সাইলো নির্মাণ কাজে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গেরিকো ফ্রান্সের অতিরিক্ত ৭ কোটি ৬৮ লক্ষ ২০ হাজার ৭০০ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন