শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিরাপত্তা কমিটি মাত্র ৭ ভাগ কারখানায়

নিরাপত্তা কমিটি মাত্র ৭ ভাগ কারখানায়

সিপিডির গবেষণা প্রতিবেদন

গত ৬ মাসে সারাদেশে পোশাক কারখানা নয় এমন কারখানাতে প্রতি দুই দিনে একটি অগ্নিদুর্ঘটনা দুর্ঘটনা ঘটছে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলছে, পোশাকখাতবহির্ভুত এসব কারখানায় অগ্নিদুর্ঘটনার অন্যতম কারণগুলো হচ্ছে- নজরদারির অভাব। এসব কারখানার মাত্র ৭ শতাংশের নিরাপত্তা কমিটি আছে। বাকিদের নেই।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। ‘কর্মক্ষেত্রে অগ্নিদুর্ঘটনা ও শ্রমিক নিরাপত্তা: নিরসনের উদ্যোগ কোথায়?’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলন রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংস্থার গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম গবেষণার ফলাফল এবং বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আমরা গবেষণায় দেখলাম নারায়ণগঞ্জের হাশেম ফুড ফ্যাক্টরির ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরও থেমে নেই অগ্নিদুর্ঘটনা। ঐ দুর্ঘটনার পর গত ছয় মাসে আমরা দেখলাম পোশাক খাত নয়, এমন কারখানায় ৮২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ৫২টি অগ্নিদুর্ঘটনা। এসব ঘটনায় ১৬৭ জন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেছেন। পাশাপাশি ২৫৬ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। আহত ও নিহত হওয়া বেশির ভাগ শ্রমিকই অগ্নিদুর্ঘটনার শিকার। এসব দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং চট্টগ্রাম এলাকায়।

সিপিডি গবেষণায় জানায়, ২০০০ সালের শুরুর দিকে বাংলাদেশে মোট পোশাকবহির্ভুত কারখানার সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ৭৫২টি। কিন্তু বর্তমানে তা ৪৬ হাজার ১১১টি। তাদের হিসাবে এই কারখানাগুলোর ৩২ শতাংশ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতের সঙ্গে জড়িত।

গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, শুধু কারখানা নয়, অগ্নিদুর্ঘটনার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে তিনটি স্থান। আমরা আমাদের গবেষণায় দেখেছি, ঝুঁকির ওপরের দিকে রয়েছে শপিংমল/ মার্কেট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং স্বাস্থ্যসেবা খাত। এসব জায়গায় নজরদারি বাড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন, সরকার একটি ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে বিডার সমন্বয়ের মাধ্যমে কারখানা পরিদর্শনের জন্য। কিন্তু হতাশার বিষয়- এই পদক্ষেপগুলোর গতি মন্থর। বিদায়ী বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তাদের পাঁচ হাজারটি কারখানা পরিদর্শনের কথা ছিল, কিন্তু তারা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিদর্শন করেছে মাত্র ৮৭৫টি কারখানা। তাদের এই কর্মকাণ্ডে আমরা সন্তুষ্ট নই।

আরও পড়ুনঃ  ওয়ান ব্যাংকের বন্ড অনুমোদন

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন