শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উল্টো সুর--

‘ভারতে গিয়ে এমন কথা বলিনি’

‘ভারতে গিয়ে এমন কথা বলিনি’

শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে যা যা করা দরকার তা করতে ভারতকে বলে এসেছেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সম্প্রতি দেয়া তোলপাড়মূলক বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন। তিনি বলেন, আমাকে যে অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে তার ধারে কাছেও আমি নেই। শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে, ভারতে গিয়ে এমন কথা বলিনি। এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। নির্বাচন নিয়েও আমি কোনো কথা বলিনি। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

গত ১৮ আগস্ট রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জেএমসেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের নয়াদিল্লিতে গিয়ে অনেকের সঙ্গে আমার দেখা হয়। আমি দেশটিতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। আজকে অনেকের বক্তব্যতে সেটাই এসেছে। শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।

সেদিনের ওই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হয় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। এমনকি আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা তার এই বক্তব্যকে সরকার বা দলের নয় ব্যক্তিগত বলে অভিমত দেন। এদিকে ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য দিয়ে শপথ ভঙ্গ এবং সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ২১ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। এসব বিবেচনা করে তিনি নিজের বক্তব্যকে অস্বীকার করে উল্টো দৌড় দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  নিরাপত্তা কমিটি মাত্র ৭ ভাগ কারখানায়

এদিকে গতকাল মন্ত্রিপরিষদ সভায় সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন লাভ করায় সিলেটবাসীর পক্ষ হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন- ২০২২’ এর খসড়া উপস্থাপন করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, আধ্যাত্মিক ও পর্যটন নগরী সিলেট অত্যন্ত সুন্দর একটি শহর। সিলেটে ইতিপূর্বে অনেক পুকুর ও জলাশয় ছিল। সম্প্রতি জলাশয়, পুকুর ভরাট করে পরিকল্পনাহীনভাবে যত্রতত্র ঘর-ভাড়ি ও বিল্ডিং তৈরির ফলে যানজট, জলাবদ্ধতা সৃষ্টিসহ সিলেটের প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ‘সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০২২’ পাশ হলে সিলেটকে পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন