শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ডিএসইতে নামলো ৬শ কোটিতে, সিএসইতে ২৩ কোটি

ভাটায় লেনদেন বাড়লো সূচক

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বৃহস্পতিবার লেনদেন ৬শ কোটি টাকার ঘরে অবস্থান করেছে। অপরদিক চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন ২৩ কোটি ঘরে চলে এসেছে। দুই স্টকের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। তবে উভয় স্টকের সব ধরনের সূচক উত্থান হয়েছে।

ডিএসইতে পাটখাতের শতভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। ব্যাংক, সিমেন্ট, সিরামিক, নন ব্যাংকিং আর্থিক, আইটি এবং পেপার খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। অপরদিকে, বিমা, খাদ্য আনুষঙ্গিক, বিবিধ খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। বস্ত্র, ইঞ্জিনিয়ারিং, ফান্ড, ওষুধ রসায়ন, জ্বালানি শক্তি, সেবা আবাসন, চামড়া, টেলিকম এবং ভ্রমণ অবসর খাতের কোম্পানির শেয়ার দর বাড়া-কমার ছন্দ ছিল। শেয়ার দর বাড়া-কমার একই চিত্র ছিল পুঁজিবাজার সিএসইতে।

ডিএসইর ৪২ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং সিএসইর ৪৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর পতন হয়। অপরদিকে, ডিএসইর ৩৮ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ এবং সিএসইর ৩৯ দশমিক ৭২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর উত্থান হয়। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর এই ধরনের বৃদ্ধি-হ্রাস স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন বিনিয়োগকারীরা বলে জানায় পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।

ডিএসইতে গতকাল বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ৬৮৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৬৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৪৫টির, কমেছে ১৬২টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৭৪টির। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩২৭ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৪ দমমিক ৬৪ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২৯৮ দশমিক ৬০ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৮২ দশমিক ৯২ পয়েন্টে।

আরও পড়ুনঃ  সূচকের পতনে চলছে লেনদেন

ডিএসইতে বেক্সিমকোর শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন বেক্সিমকো ৩৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে শাইনপুকুর ৩৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা, ফরচুন সুজ ২২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, তিতাস গ্যাস ২১ কোটি ৯২ লাখ টাকা, আইপিডিসি ফাইন্যান্স ১৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, জেএমআই হসপিটাল ১৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, পাওয়ার গ্রীড ১৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং ফুড ১২ কোটি ২৯ লাখ টাকা, আরএকে সিরামিকস ১০ কোটি ১৮ লাখ টাকা ও সোনারগাঁ টেক্সটাইল ৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ওঠেছে মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এদিন শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে গ্লোবাল হেবি কেমিক্যাল ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ, তিতাস গ্যাস ৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, ডেসকো ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ, শমরিতা হসপিটাল ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ, আরামিট সিমেন্ট ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ, বার্জার পেইন্টস ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও একমি পেস্টিসাইড ৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ করে শেয়ার দর বেড়েছে।

ডিএসইতে দর কমার শীর্ষে ওঠেছে এপেক্স ট্যানারির শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এদিন শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে আল-হাজ্ব টেক্সটাইল ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ, হাক্কানী পাল্প ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ডেফোডিল কম্পিউটার ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ, ইমাম বাটন ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বঙ্গজ ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ, এইচ আর টেক্সটাইল ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ, সোনালী পেপার ১ দশমিক ৯১ শতাংশ ও ইসলামী ইন্স্যুরেন্স ১ দশমিক ৯১ শতাংশ করে শেয়ার দর কমেছে।

আরও পড়ুনঃ  লালফিতার দৌরাত্ম্যে আমি কাবু: বাণিজ্যমন্ত্রী

অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে এদিন (বৃহস্পতিবার) লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৩৮ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৮৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১১৪টির, কমেছে ১৩১টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৪২টির। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৬ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬১৮ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে।

এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৩৪ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ২৬ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৯ দশমিক ৫১ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ২ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৬৮ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৫০৭ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে, ১১ হাজার ১৬১ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৭৬ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে।

সিএসইতে স্কয়ার ফার্মার শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন স্কয়ার ফার্মা ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইউনিয়ন ব্যাংক ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, জেএমআই হসপিটাল ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, শাইনপুকুর ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, ডরিন পাওয়ার ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা, সিলকো ফার্মা ৬২ লাখ টাকা, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ৬০ লাখ টাকা, তিতাস গ্যাস ৫২ লাখ টাকা, বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকো ৫২ লাখ টাকা এবং ফু-ওয়াং সিরামিক ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

আরও পড়ুনঃ  শেয়ারবাজারে দর বাড়ার শীর্ষে এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন