শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিক্রয় চাপে কমেছে ৬৫ শতাংশ কোম্পানির দর

বিক্রয় চাপে কমেছে ৬৫ শতাংশ কোম্পানির দর

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন কমেছে ৬৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। আগের কার্যদিবস থেকে এদিন লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। গতকাল রবিবার স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দুই পুঁজিবাজারে সব ধরনের সূচক কমেছে। এদিন শেয়ার বিক্রয়ের চাপ বেশি ছিল। এর কারণে এদিন দুই স্টকের ৬৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইর ৬৫ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং সিএসইর ৬৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর পতন হয়। দুই স্টকের ২৫ দশমিক ৮২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর উত্থানে হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইর ২৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং সিএসইর ২৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর উত্থান হয়েছে।

এদিন ডিএসইতে পাট খাতের শতভাগ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে। এরপর বস্ত্রখাতের ৯০ শতাংশ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের ৮৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে। এরই ধরাবাহিকতায় জ্বালানি শক্তি খাতের ৭৮ শতাংশ, বিমা খাতের ৭৭ শতাংশ, সেবা আবাসন খাতের ৭৫ শতাংশ, ভ্রমণ অবসর খাতের ৭৫ শতাংশ, পেপার খাতের ৭৩ শতাংশ, ওযুধ রসায়ন খাতের ৭২ শতাংশ, বিবিধ খাতের ৭১ শতাংশ, ব্যাংক খাতের ৬৯ শতাংশ, আইটি খাতের ৬৭ শতাংশ এবং নন ব্যাংকিং আর্থিক খাতের ৬১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর পতন হয়েছে। ডিএসইতে চামড়া এবং টেলিকমিউনিকেশন খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর উত্থান হয়েছে। দুই খাতের ৬৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর উত্থান হয়েছে। পুঁজিবাজারের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমা এবং সব ধরনের সূচক পতনকে কেন্দ্র করে এক ধরনের বৈরি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যা বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজার প্রতি বিনিয়োগে আগ্রহ ভাটা পড়তে পারে বলেও মনে করছেন বিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা।

আরও পড়ুনঃ  থানার সার্ভিস ডেস্কে কঠোর মনিটরিং হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

দুই স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬০১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ২৪৮টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২৮টির।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭৩ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৫ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট ও ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক দশমিক ৩০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ৬২৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে ও ১ হাজার ৫০৮ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্টে। টাকার অংকে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, পাওয়ার গ্রীড, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, এপেক্স ফুড, সোনালি পেপার, সাইফ পাওয়ারটেক, ফরচুন সুজ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, লিন্ডে বিডি।

অপর পুঁজিবাজারে রবিবার সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ৪৪ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৭৫টির, কমেছে ১৯৯টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৩০টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১১৫ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৭০২ দশমিক ১৩ পয়েন্টে।

এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১৭৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৬৮ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক ৫ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৫২৯ দশমিক ৭১ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ৩৪৩ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্টে, ১২ হাজার ৪৩৬ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে ও ১ হাজার ২৯৩ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে। টাকার অংকে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ কোম্পানি হলো- ওরিয়ন ফার্মা, কাট্রালি টেক্সটাইল, বেক্সিমকো, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, রবি, কেয়া কসমেটিকস, ওয়ান ব্যাংক, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, আরএকে সিরামিক, সাইফ পাওয়ারটেক।

আরও পড়ুনঃ  তরুণরাই পারবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে- শিক্ষামন্ত্রী

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন