শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তরুণরাই পারবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে- শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষা মন্ত্রী ডা.দীপু মনি
তরুণরাই পারবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে- শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষা মন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বের  সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আজকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব একেবারেই দরজায় কড়া লাড়ছে। কাজের বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। বিজ্ঞান মনস্ক হলেই চলবে না। বিজ্ঞান ব্যবহারে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের ২০৪১ সালের রুপ প্রকল্প রয়েছে। ২০৩০ এর টেকসই উন্নয়ন অর্জন প্রকল্প আছে। সবগুলো মিলিয়ে আমাদের কোন উপায় নেই যে, প্রচলিত ধারায় চললে চলবে না। আমাদের প্রচলিত শিক্ষা কারিকুলামকে খারাপ বলছি না। কিন্তু প্রচলিত কারিকুলামের জ্ঞান তা কিভাবে শিখছি। এই কারিকুলাম শিখে ধারন করা ও সেটিকে প্রয়োগ করা তা ভালভাবে শিখছিলাম না। 

০১ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ (বুধবার)সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি,বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত নবীন বরণ ও বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত ব্লেন্ডেড লার্নিং সল্যুশন’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় মন্ত্রী ডা.দীপু মনি এ কথা বলেন।

শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামে বিশ্ববিদ্যালয় যিনি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। ২৩ বছরের ত্যাগ সংগ্রাম যুদ্ধ বিধংস্ত দেশ গড়ার পাশাপাশি মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় তাকে কেড়ে নিয়েছেন। স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সহ্য করতে হয়েছে। ওই পথচলা কষ্টের ছিল, ২১ বছর বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। শেখ হাসিনা গনতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তরুনদের জন্য

উৎসর্গ করেছেন। তরুনরা পারবে সোনার বাংলা গড়তে। ফলেশিক্ষানীতি প্রনয়ন, বিনামুল্যে বই বিতরন, উপবৃওি ,বিদ্যালয় অবকাঠামো নির্মান ও সারা বাংলাদেশে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব নির্মান করা হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ১০৭টির বেশী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। শিক্ষাটা যেন আনন্দময় হয়। গবেষনার মাধ্যমে আনন্দময় করে শিক্ষা দেওয়া হলে সেই শিক্ষায় শিক্ষর্থীরা আত্মস্থ করতে পারবে, ধারণ করতে পারবে। শিক্ষাকে আনন্দময় করতেই শিক্ষাব্যবস্থার এই পরিবর্তন। আমরা নতুন শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সত্যি খুবই উজ্জীবিত।

আরও পড়ুনঃ  বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন জিয়াউর রহমান

শিক্ষা মন্ত্রী আরো বলেন, আগামী শিক্ষাবছর থেকে আমাদের নতুন কারিকুলাম শুরু হচ্ছে। সেখানে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া। আমরা ইতোমধ্যেই এই প্রশিক্ষণ শুরু করে দিয়েছি। শিক্ষকদের যারা প্রশিক্ষণ দিবেন তাদের এবং শিক্ষাপ্রশাসকসহ সবার প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গেছে। আরও ব্যাপক আকারে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে আমাদের এই নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতেই হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টির দক্ষতা অর্জন করা এবং যখন প্রয়োজন কারণ দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে নতুন নতুন দক্ষতা শিখতে হবে। যখনই নতুন নতুন দক্ষতার প্রয়োজন হবে তখনই শিখে নিবো। সারা পৃথিবীতে সফ স্কীচ বলা হয়, সেই দক্ষ শিক্ষার্থীর মধ্যে একেবারেই প্রথম থেকে পতিত করে দিতে না পারি, তাহলে আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠিকে বিশাল জন সম্পদে পরিণত করা দরকার, সোনার বাংলা গড়ার জন্য, সেটি করা সম্ভব হবে না। সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য যে দক্ষ যোগ্য মানবিক মানব সম্পদ প্রয়োজন গড়বার জন্য আজকে শিক্ষার নতুন কারিকুলাম। শিক্ষার্থীরা কেউ অংকে ভয় পায়, কেউ রসায়নকে ভয় পায়, কেউ সবকিছুতেই ভয় পায়। এই ভয় থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দে ভোগে। কিন্তু এই ভয় কেন পায়, কারন হচ্ছে তাদের যে পদ্ধতিতে পড়ানো হয়, শেখানো হয়। সেই পদ্ধতিতে তারা বিষয়কে ভয় পেতে শুরু করেছে। অলিম্পিয়াড দেখেন সেখানে সকল বয়সী শিশুর অংশগ্রহণ এবং তাদের মধ্যেকি এক উদ্দীপনা কাজ করেছে। তাহলে আসল বিষয় হচ্ছে আমরা কি করে শেখাচ্ছি। অলিম্পিয়াড শিক্ষকরা কিভাবে শিখায়। আমাদের শেখাটা যেন আনন্দময় হয় সেজন্য নতুন কারিকুলামে অলিম্পিয়াডের তাদেরকে সংযুক্ত করেছি।

আরও পড়ুনঃ  করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব: টিপু মুন্সি

শিক্ষা মন্ত্রী দিপু মনি বলেছেন, যখন শিক্ষা পরিবেশ শান্ত থাকে তখন শিক্ষার মান উন্নত হয়। এদিন শিক্ষার পরিবেশ শান্তিপূর্ণ থাকার পর আজকে এই যে উত্তাপ ছড়াবার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এর মধ্যে কারো কারো কথা শুনেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন যখন আরেকটি ৭৫ ঘটনা বিভিন্ন খাতে গুরুত্ব দেওয়া হয়, তার মানে সেই ৭১ এর পরাজিত শক্তি,৭৫ এর হত্যাকারী, ২০০১ এর হত্যা ধর্ষণকারী, ২০০৪ গ্রেনেড হামলাকারী, ২০১৩-১৪ সালের অগ্নি সন্ত্রাসী তারাই কিন্তু আবার মাথাচালা দিয়ে উঠবার চেষ্টা করছে। তারা জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এবং বিশেষ করে এই মুর্হুতে আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু যার উদ্বোধন। যার উদ্বোধনের মাধ্যমে এটা কিন্তু যোগাযোগের অবকাঠামো নয় এটি বাঙালীর আত্মমর্যাদা ও আত্মবিশ্বাসীরাঅন্যন্য প্রতীক। সেইটির উদ্বোধনী মূর্হুতে এই যে, একটি নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা হুমকি দিচ্ছেন। এই হুমকি রাজনীতির অংশ হতে পারে না। এটি সন্ত্রাসের ভাষা, এটি হত্যাকারীর ভাষা। এই হুমকিকে আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাই।আজকে এই যে শিক্ষাঙ্গণে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা সেটি সেই ঘৃণ্য অপচেষ্টারই অংশ। সেই হত্যাকারীরা আবার মাথাচারা দিয়ে উঠবার চেষ্টা করছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে ।

এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির রেজিষ্টার আশরাফ উদ্দিন, শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান। এসময় উপস্তিত ছিলেন, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.ফরহাদ হোসেন,গাজীপুরের এডিশনাল এসপি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন