দিনাজপুর হাকিমপুর হিলি স্থলবন্দরে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা। যা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ কোটি টাকা বেশি। যা গত বছরের ডিসেম্বর মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৩৩ কোটি টাকা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার কামরুল ইসলাম।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন হিলির যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে পণ্য আমদানির পাশাপাশি সরকার এ বন্দর থেকে আরো বেশি রাজস্ব আয় করতে পারবেন। এ বন্দর থেকে সরকারের ভালো রাজস্ব আদায় হয় অথচ এ বন্দরে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না। রাস্তাঘাট খাল-খন্দকে পরিণত হয়েছে।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে এ বন্দরে গড়ে প্রতিদিন ১৬০ থেকে ১৮০ টি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করতো চলতি বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে প্রবেশ করেছে ২৭০ থেকে ২৯০ পণ্যবাহি ট্রাক। হিলি স্থলবন্দরের শ্রমিক সর্দার গোলাম মোর্শেদ বলেন, এ বন্দরে আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই শ্রমিকদের কাজের পরিমাণও অনেক বেড়েছে। সরকারি বিধিনিষেধ অনুযায়ী বন্দরে শ্রমিকরা লোড-আনলোডের কাজ করছে। সব শ্রমিকদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলে লোড-আনলোডের কাজ।
এ বিষয়ে কথা হয় হিলি আমদানি- রফতানি গ্রুপের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ ফারুকের সঙ্গে। তিনি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে। রাস্তাঘাটের একটু সমস্যা রয়েছে। তবে তা অচিরেই মেরামতের জন্য দেন-দরবার চলছে।