শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভৈরব নদে ডুবে গেল সার বোঝাই জাহাজ

ভৈরব নদে ডুবে গেল সার বোঝাই জাহাজ

যশোরের অভয়নগরে ভৈরব নদে সারবোঝাই একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। বুধবার গভীর রাতে নওয়াপাড়া পীরবাড়ি ঘাট এলাকায় এমভি শরিব বাঁধন নামক একটি লাইটার জাহাজ ৬৪০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নিয়ে ডুবে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জাহাজ থেকে ইউরিয়া ঘাটে নামানোর কথা ছিল। জাহাজে থাকা ইউরিয়া গলে নদের পানিতে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ভৈরব নদের পানি দূষিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, এমভি শারিব বাঁধন নামের ওই জাহাজে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) কাতার থেকে আমদানি করা ৬৪০ মেট্রিক টন ইউরিয়া ছিল। চট্টগ্রামভিত্তিক শিপিং কোম্পানি টোটাল শিপিংকে ওই ইউরিয়া পরিবহনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কাতার থেকে আমদানি করা ইউরিয়া বড় জাহাজে করে চট্টগ্রামে আনা হয়। সেখানে বড় জাহাজ থেকে ৬৪০ মেট্রিক টন (১২ হাজার ৮০০ বস্তা) ইউরিয়া ছোট জাহাজ এমভি শারিব বাঁধনে তোলা হয়। গত ২১ জানুয়ারি জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রওনা দিয়ে ২৫ জানুয়ারি যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পীরবাড়ি খেয়াঘাট এলাকায় ভৈরব নদের ঘাটে এসে নোঙর করে।

ডুবে যাওয়া জাহাজটির মাস্টার সজিব হোসেন জানান, গত ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৬৪০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার বোঝাই করে নওয়াপাড়া বন্দরে আসলে নওয়াপাড়ার ফেরিঘাটের সঞ্জয় ট্রেডিং সার আনলোড না করার কারণে ওই জাহাজটি ৪দিন ধরে ভৈরব নদের ভাটপাড়ায় অবস্থান করে। পরে সঞ্জয় ট্রেডিং অফিস থেকে বলা হয়, জাহাজটি নওয়াপাড়া পীর বাড়ি ঘাটে নিলে আনলোড করা হবে। বুধবার দুপুরে জাহাজটি নওয়াপাড়া পীরবাড়ি ঘাটে রাখা হলে গভীর রাতে জাহাজটি কাত হয়ে যায়। এক পর্যায়ে জাহাজের তলা ফেটে তা ডুবে যায়। তিনি আরও জানান, জাহাজে থাকা ইউরিয়া সারের মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানিয়ে অভয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  পুঁজিবাজারে লেনদেন ৯০০ কোটি টাকা ছাড়াল

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নওয়াপাড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক নিয়ামুল হক রিকো জানান, জাহাজটি ডুবে যাওয়ার ফলে ভৈরব নদে সব ধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ডুবে যাওয়া জাহাজটি উদ্ধারের কাজ শুরু হচ্ছে। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ এর সহকারী পরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত স্থানে লোকজন পাঠানো হয়েছে। তারা পরিদর্শন করে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন