তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন ১৮ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে। চলবে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। এদিন সকাল ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২২’ এর কর্মসূচি অনুযায়ী সম্মেলনটিতে ২১টি কার্য অধিবেশনসহ মোট ২৫টি অধিবেশন থাকবে। প্রথমদিন ৭, দ্বিতীয় দিন ৮ এবং তৃতীয়দিন ১০টি অধিবেশন থাকবে।
করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে এবার এ সম্মেলনের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। তবে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও প্রধান বিচারপতি ভার্চ্যুয়ালি সম্মেলনে যুক্ত হবেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জানুয়ারি শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
তবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সঙ্গে সেশন ভার্চ্যুয়ালি হবে।
দ্বিতীয় দিন বিকেল সোয়া ৪টায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার শুভেচ্ছা বক্তব্য ও সন্ধ্যা ৬টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেবেন প্রধান বিচারপতি। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দু-বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডিসি সম্মেলন। প্রথমে ১১ থেকে ১৩ জানুয়ারি ডিসি সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বড় অনুষ্ঠানের কারণে তা পেছানো হয়।
সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনা-সামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য সাধারণত প্রতি বছর জুলাই মাসে ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আর প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলন উদ্বোধন করেন। করোনার কারণে এবার নিয়মের ব্যত্যয় হলো। কার্য-অধিবেশনগুলোতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকেন।
সম্মেলন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা লিখিতভাবে মাঠ প্রশাসনের সমস্যাগুলো নিয়ে প্রস্তাব দিয়ে থাকেন। অধিবেশনের সময় এগুলো ছাড়াও ডিসিরা তাৎক্ষণিক বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন। অধিবেশনগুলো হয় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে। কার্য অধিবেশনগুলোতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
আনন্দবাজার/এম.আর
