শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোটরসাইকেল শিল্পে ভ্যাট অব্যাহতি বহালের সুপারিশ

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন মোটরসাইকেল শিল্পে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা পুনর্বহালের সুপারিশ করেছে। এটি পুনর্বহাল করা না হলে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অব্যাহতি সুবিধা না দেয়া হলে দেশে নতুন বিনিয়োগ আসবে না বলেও জানান তারা।

ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ আমলে নিয়ে প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে লকডাউন এবং অর্থনৈতিক স্থবিরতায় দেশের শিল্প খাত কিছুটা সমস্যায় পড়েছে। এ দুর্যোগ পরিস্থিতিতে শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের স্বার্থে এপিআই, রিএজেন্ট উৎপাদন, ফ্রিজ, এসি, কম্প্রেসার, লিফট ও মোবাইল ফোনসেট উৎপাদনের মতো স্থানীয় মোটরসাইকেল উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা আরও কিছু দিন বহাল রাখা প্রয়োজন। তা না হলে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

তাই কম মূল্যে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে মোটরসাইকেল সরবরাহ করার লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মোটরসাইকেলে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা রাখা প্রয়োজন। বর্তমানে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যমুনা ইলেকট্রনিক্স, রানার অটোমোবাইল, নিউ গ্রামীণ মটরস ও রোডমাস্টার মোটরসাইকেল উৎপাদন করছে। এছাড়া হোন্ডা, বাজাজ, হিরো, টিভিএসের মতো ব্র্যান্ড দেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনে বিনিয়োগ করছে। সামগ্রিকভাবে এই বিনিয়োগের পরিমাণ আট হাজার কোটি টাকা।

২০১০ সাল থেকে মোটরসাইকেল শিল্প ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা ভোগ করে আসছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে দেশের অন্যসব শিল্পে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বহাল রাখা হলেও মোটরসাইকেল শিল্পে তা প্রত্যাহার করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষক হবেন গাইড: শিক্ষামন্ত্রী

এনবিআর সূত্র জানায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনের যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এনবিআর চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে আলোচনা করবেন। পরে অর্থমন্ত্রীর কাছে সামগ্রিক বিষয় তুলে ধরে সার-সংক্ষেপ পাঠানো হবে। অর্থমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

মোটরসাইকেল ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এমএমইএবি) তথ্য মতে, করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন এবং অর্থনৈতিক স্থবিরতায় দুই মাসে এ শিল্পে ক্ষতি হয়েছে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা। যা আগামী বছর সাত হাজার ২০০ কোটি টাকা হতে পারে।

এমএমইএবি’র সভাপতি হাফিজুর রহমান খান বলেন, স্থানীয় উৎপাদকরা ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা পাওয়ায় কম দামে ক্রেতাদের মোটরসাইকেল দিতে পারত। এখন সেই সুবিধা প্রত্যাহার করায় দেশি মোটরসাইকেলের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাবে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন