শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিক্রির চাপেও উত্থান

বিক্রির-চাপেও-উত্থান

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল বৃহস্পতিবার সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। লেনদেন পরিমাণ ডিএসইতে কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। ডিএসইর লেনদেন কমে ৮শ কোটি টাকার কাছাকাছিতে নেমে এসেছে। আর সিএসইর লেনদেন ১৭শ কোটি টাকায় এসেছে। ক্রেতার পরিমান দুই স্টকেই কমেছে। ফলে শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়েছে।

সূচক প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবারও ফ্লোর প্রাইজের কারণে ডিএসইতে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত ছিল। এদিন বিক্রেতার চাপ বেশি ছিল। একই অবস্থা ছিল সিএসইতে।

আরও বলেন, সরকারের নতুন সময় সূচির প্রথম কার্যদিবস ডিএসইতে গত ২৪ আগস্ট পতন হয়েছিল। যা আগের টানা ছয় কার্যদিবস উত্থানের পর এই মন্দা। পতন পরের দুই কার্যদিবস (বৃহস্পতিবার ও রবিবার) উত্থানে ছিল পুঁজিবাজার। ওইসময় লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছিলো। পরেরদিন সোমবার লেনদেনে ভাটা পড়ে। সেখান থেকে পরের দুই কার্যদিবস লেনদেন কিছুটা বাড়ে। পরেরদিন লেনদেন আবারো কমে। এরপরের কার্যদিবস লেনদেন বেড়ে ২৩শ কোটি টাকায় ওঠেছিল। পরে জোয়ার-ভাটায় চলে পুঁজিবাজারের লেনদেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর লেনদেন বছরের সেরা রেকর্ড করেছিলো। ওইদিন লেনদেন ২৮শ কোটি টাকা এসেছিলো। পরে ফের জোয়ার-ভাটায় পড়ে লেনদেন। এরই ধারায় গতকাল বৃহস্পতিবার লেনদেন ভাটায় ৮শত কোটি টাকার কাছাকাছিতে নেমে এসেছে। তবে প্রধান সূচকেও রয়েছে উত্থান।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রমতে, গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৭৯৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস গত বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩ দশমিক ৬২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৫৩ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক ৪ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৩৫ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৮৫ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্টে।

আরও পড়ুনঃ  আবারও ফিরেছে বাঘ

গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৩টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৩৬টি এবং কমেছে ৮০টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২২৭টির। এদিন ডিএসইতে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন জেনেক্স ইনফোসিস ৮২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওরিয়ন ফার্মা ৭২ কোটি ৩২ লাখ টাকা, নাভানা ফার্মা ৩৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, সামিট এলায়েন্স পোর্ট ৩৭ কোটি ২ লাখ টাকা, বসুন্ধরা পেপার ২৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, ইস্টার্ন হাউজিং ২৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, সিনো বাংলা ২০ কোটি ৩ লাখ টাকা, আমরা টেকনোলজি ১৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, সোনালী পেপার ১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা এবং সী পার্ল বিচ ১৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

অপরদিকে, সিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৬ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস বুধবার ১৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭৯টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ২৯টি, কমেছে ৪৬টি এবং পরিবর্তন হয়নি ১০৪টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৯ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭৬৩ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ৩ দশমিক ৪২ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৩ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ১১ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ৩ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৩৯ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৪২ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে, ১১ হাজার ২৪৪ দশমিক ৬০ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৯১ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে।

আরও পড়ুনঃ  সূচকের বড় উত্থানে শুরু হয়েছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

এদিন সিএসইতে ইস্টার্ন ব্যাংকের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন ইস্টার্ন ব্যাংক ৪ কোটি ৬ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ২ কোটি ১ লাখ টাকা, কেডিএস এক্সেসরিজ ১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, জেনেক্স ইনফোসিস ১ কোটি ১০ লাখ টাকা, নাভানা ফার্মা ৮৫ লাখ টাকা, জিপিএইচ ইস্পাত ৭৭ লাখ টাকা, সামিট এলায়েন্স পোর্ট ৬৮ লাখ টাকা, রুপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৬৫ লাখ টাকা, ওনিয়ন ফার্মা ৩৪ লাক টাকা এবং সিনো বাংলা ২৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন