শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পদ্মায় পানি বৃদ্ধি-

হুমকিতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ

হুমকিতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ

পদ্মা নদীতে আকষ্মিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের তীব্রতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে শতবর্ষী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ হুমকিতে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে শুধু হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নয় পার্শ্ববর্তী লালন শাহ সেতুও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

গত ৫ আগষ্ট থেকে আজ ১০ আগষ্ট পর্যন্ত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, লালন শাহ সেতু ও পার্শ্ববর্তী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের আশংকাজনক চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। স্থানীয় অনেকেই বলেছেন, এক সময় যখন পদ্মা নদী প্রমত্তা পদ্মারূপে দৃশ্যমান ছিলো তখন হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ১৫টি স্প্যান পানির মধ্যেই অবস্থান করতো।

স্বাধীনতা উত্তরকালীন সময়ে ফারাক্কা বাঁধের কারণে পানি সংকট ও নদীর নাব্যতা হারিয়ে ফেলায় প্রমত্তা পদ্মা সরু নদীতে পরিণত হয়। সে সময় হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পশ্চিম পাড়ের ভেড়ামারা অংশের ৪/৫ টি স্প্যান পর্যন্ত সরু নদীতে পানি থাকতো। বাকিটায় চর পড়ে সমতল ভূমিতে পরিণত হয়ে যেতো। এসময় স্থানীয় কৃষকরা নানা ধরনের ফসলের চাষ করতো এ চরে। গত মৌসুমেও বাদামসহ নানা ধরনের শষ্য আবাদ হয়েছে। এখনও শত শত বিঘা কলার আবাদ পরিলক্ষিত হচ্ছে এ চরে। আকষ্মিকভাবে পানি বৃদ্ধির কারণে ভাঙন সৃষ্টি হওয়ায় আবাদকৃত কলার জমিও নদীগর্ভে বিলিন হতে শুরু করেছে। এ নদী ভাঙ্গন ও ব্রীজ হুমকিতে পড়ার জন্য সচেতন মহল বালু ব্যবসায়ীদেরও দায়ী করছে।

পদ্মা নদীর এ ভাঙনের কারণে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কি না জানতে চাইলে পাকশী রেলওয়ে বিভাগের সেতু প্রকৌশলী নাজিব কাওছার বলেন জানান, নদীতে পানি যতই বৃদ্ধি পাক আর ভাঙন দেখা দিক, তাতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কোনো ক্ষতি হবে না। এ ব্রিজের পিলারগুলো নদীর অনেক গভীর পর্যন্ত পাইলিং করে স্থাপন করা হয়েছে। নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও রেলওয়ে যৌথভাবে নকশা প্রণয়নের মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। পানি কমে গেলে ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  বেড়েছে সূচক কমেছে লেনদেন

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সরোয়ার জাহান সুজন বলেন, পদ্মা নদীতে গত কয়েক দিন থেকেই আকষ্মিকভাবেই পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। গত জুলাই মাসের ২৫ তারিখে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির পরিমাণ ছিলো ৯.২৫ সেন্টিমিটার। এখন তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ সেন্টিমিটারেরও বেশি। প্রতিদিনই ৩০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন