শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিরীক্ষা নিশ্চিতে সংসদীয় ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে: স্পিকার

স্পিকার

কেবল আইন প্রণয়ন নয়, সংসদীয় গণতন্ত্রে কমিটি ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগের কার্যক্রম তদারকি ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান করে থাকে সংসদ। এ অবস্থায় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাধ্যমে নিরীক্ষা নিশ্চিত করে সংসদীয় ব্যবস্থাকে আরও দক্ষ ও শক্তিশালী করতে হবে। তা ছাড়া জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সংসদ সদস্যদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

গতকাল রবিবার ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের হাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃক যুক্তরাজ্যের রক্সটন কলেজে আয়োজিত ‘ফিফটিনথ ওয়ার্কশপ অব পার্লামেন্টারি ওয়ার্কশপ অ্যান্ড পার্লামেন্টারিয়ান্স’ এর সেশন-থ্রি, প্যানেল-এ এর ‘স্ট্রেনদেনিং লেজিসলেচারস’ সেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

স্পিকার বলেন, গণতন্ত্র চর্চার কেন্দ্রবিন্দু সংসদ। সংসদ আইন প্রণয়ন করে যার ভিত্তিতে নির্বাহী বিভাগ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। কেবল আইন প্রণয়ন নয়, সংসদীয় গণতন্ত্রে কমিটি ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগের কার্যক্রম তদারকি ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান করে থাকে সংসদ। এ ব্যবস্থা যতো শক্তিশালী ও দক্ষ হবে, সংসদীয় গণতন্ত্রও ততো বেশি শক্তিশালী ও দক্ষ হবে। রাষ্ট্র পরিচালনা এবং উন্নয়ন ও জনস্বার্থ নিশ্চিত তথা জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন সংসদের প্রধান কাজ।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সংসদ সদস্যরা আইন প্রণয়নের পাশাপাশি নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে কাজ করছেন। তৃণমূলে তথা জনগণের দোড়গোঁড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে তারা স্থানীয় প্রশাসন ও স্টেকহোল্ডারদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করছেন। বিশেষ করে জনগণের মাঝে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান এসব বিষয়ে দক্ষতা  ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে তরা কাজ করছেন।

আরও পড়ুনঃ  শ্রমিক থেকে উদ্যোক্তা, ফুলব্যাগে দুই বন্ধুর ভাগ্য বদল

এছাড়া নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা স্পিকারের নেতৃত্বে ‘বাল্যবিবাহ, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ’, ‘মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন, নিরাপদ প্রসব নিশ্চিতকরণ ও পরিবার পরিকল্পনা’ এবং ‘জনসংখ্যার বহুমাত্রিক ও যুব উন্নয়ন’; এই তিনটি ইস্যুতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করাসহ মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সচেষ্ট রয়েছেন বলেও জানান স্পিকার। সংসদ সদস্যদের এই ভূমিকা বিশ্বের অন্যান্য পার্লামেন্টও চর্চা করতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্যানেল-৩ এর ‘স্ট্রেনদেনিং লেজিসলেচার্স’ টরোন্টো ইউনিভার্সিটির লেজিসলেটিভ রোল ইন দ্যা পোভার্টি বিভাগের মিশেল ইউয়াশ এবং মালয়েশিয়ান পার্লামেন্টের রিসার্চ অ্যান্ড লাইব্রেরি বিভাগের মুথান্না সারি ‘পার্লামেন্টারি স্ট্রেনদেনিং ইন সাউথ আফ্রিকা: বাজেট ওভারসাইট এফিকেসি রিফর্ম বিয়ন্ড পপুলার কনগ্রেসনাল মডেলস’ বিষয়ে আলোচনা করেন।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন