শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৈয়দপুরে শব্দ দূষণরোধে সচেতনতার উদ্যোগ

সৈয়দপুরে শব্দ দূষণরোধে সচেতনতার উদ্যোগ

নীলফামারীর সৈয়দপুরে সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘হৃদয়ে সৈয়দপুর’ এর উদ্যোগে শব্দ দূষণ রোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় শহরের ব্যস্ততম এলাকা শহীদ ক্যাপ্টেন মৃধা সামসুল হক সড়কের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে সংগঠনের সদস্যরা শব্দ দূষণ রোধের সচেতনতামূলক নানা শ্লোগান লিখিত প্লাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় শব্দ দূষণের কুফল সম্পর্কে গাড়ি চালকদের অবহিত করা হয়।

সংগঠনটির সভাপতি আকাশ সরদার বলেন, শব্দ দূষণ যেন এক নতুন মহামারি। সকালে এলার্ম শুনে ঘুম ভাঙা থেকে শুরু। তারপর সারাটা দিন ধরে অজস্র শব্দের মাঝে বাস। কখন সেই শব্দ দূষণে পরিণত হয় আমরা জানি না। সৈয়দপুরে এই শব্দ দূষণ এখন এক নীরব ঘাতকে পরিণত হয়েছে। শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে আইন থাকলেও তার প্রয়োগ নেই৷

সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন বলেন, নানা কারণে শব্দ দূষণ ঘটে। মোটর গাড়ি ও এর হর্ণ শহর এলাকায় শব্দদূষণের প্রধান কারণ। অনেক সময় গাড়ি চালকরা অনর্থক হর্ণ বাজান। সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হলো, শব্দ দূষণকে একটা সমস্যা বলেই কেউ মনে করে না। সবাই এটাকে একটা স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে ধরে নিয়েছে। অথচ স্বাভাবিক বা সহনীয় শব্দের মাত্রা ৫৫ থেকে ৬০ ডেসিবেল।

এ প্রসঙ্গে সহ-সভাপতি রাশেদুজ্জামান রানা ও যুগ্ম সম্পাদক আসিয়া আক্তার নিশি বলেন, চিকিৎসকরা জানান উচ্চমাত্রার শব্দের কারণে মানুষের শ্রবণশক্তি হ্রাস, বধিরতা, হৃদরোগ, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, আলসার, অনিদ্রা বা ইনসমনিয়া, মানসিক উত্তেজনা ও উদ্বিগ্নতা বা অ্যাংজাইটি, স্ট্রোক, বিরক্তি সৃষ্টি হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন শিশু এবং বয়স্করা।

আরও পড়ুনঃ  খুলনায় বাড়ছে চীনা পণ্যের দাম

এমনকি গর্ভে থাকা সন্তানও শব্দদূষণে ক্ষতির শিকার হয়, অর্থাৎ তাদের শ্রবণশক্তি খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। বয়স্ক এবং অসুস্থরা এই শব্দ দূষণের বড় শিকার৷ কর্মজীবীদের ভেতরে কাজের দক্ষতা, মনোযোগ কমে যাওয়া ও সহজেই মেজাজ হারিয়ে ফেলার প্রবণতা দেখা যায়।

এছাড়া শব্দ দূষণের ফলে সড়কে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। কারণ শব্দ দূষণে মেজাজ খিটখিটে হয়, মনোযোগ নষ্ট হয়। তাই শব্দ দূষণ রোধে- প্রথমত জনসচেতনতা সৃষ্টির কোনও বিকল্প নেই। এরপর আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি নীতিনির্ধারকদেরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। নাহলে খুব বেশি দেরি নেই, যখন আমরা দেশ ভর্তি প্রতিবন্ধী ও বিকলাঙ্গ মানুষ দেখতে পাবো।

জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সংগঠনটির উপদেষ্টা  উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোখছেদুল মোমিন,  লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি লায়ন রেয়াজুল আলম রাজু, সৈয়দপুর ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট নাহিদ পারভেজ চৌধুরী।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন