শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোরবানি ঈদকে ঘিরে শেরপুরে কামারদের প্রস্তুতি

কোরবানি-ঈদকে-ঘিরে-শেরপুরে-কামারদের-প্রস্তুতি.

ঈদুল আজহাকে ঘিরে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তুতে সময় পার করছেন শেরপুরের কামাররা। কোরবানির পশু জবাই, চামড়া ছাড়ানো এবং মাংস কাটার জন্য প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম তৈরিতে তারা এখন ব্যস্ত।

পশু কোরবানির পর তা পরিপাটি করে খাবারের উপযোগী করতে অন্যতম অনুষঙ্গ ছুরি, চাপাতি, দা ও বটি। সারা বছর এসব জিনিসের ব্যবহার হলেও কোরবানি ঈদকে ঘিরে এর চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তাই এখন জেলার সদর উপজেলার হাওড়া কামারপাড়া, মোবারকপুর কামার বাড়ি, আখের মামুদ বাজার, চিথলিয়া, শ্রীবরদী, নকলা, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীর কামার পাড়াসহ বিভিন্ন স্থানের কামাররা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ।

ঈদের বেশ কিছুদিন বাকি থাকলেও বন্যার প্রভাবে কামারশালায় এখন ক্রেতাদের তেমন দেখা যাচ্ছে না। তবে দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বেচাকেনা জমে উঠবে বলে প্রত্যাশা কামারদের।

স্থানীয় কামাররা জানান, বর্তমানে বিদেশ থেকে আমদানি করা আধুনিক যন্ত্রপাতির কারণে কৃষিকাজে কামারদের তৈরি পুরনো উপকরণ আর তেমন ব্যবহার হচ্ছে না। এজন্য কৃষি উপকরণসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরিতে জড়িত কামারদের প্রায় সারা বছর কাজ নেই বললেই চলে। তবে প্রতিবছর কোরবানি ঈদের আগে এক মাস ব্যস্ত সময় পার করেন তারা।

শেরপুরের সৈয়দ কামার জানান, তিনি দীর্ঘ ২৫/৩০ বছর যাবত এই পেশার সঙ্গে জড়িত। বাপ-দাদার আমল থেকে আমরা এই কাজ করে আসছি। বাবার পেশাকে আগলে রেখে তিনি এখনো এই কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে দুই মওসুম ধানের আর এই কোরবানীর সময় তাদের তৈরি সরঞ্জাম বিক্রি বেশী হয়। আখের মামুদ বাজারের কামার জামির মিয়া বলেন, এবার বন্যার কারণে কাজের অবস্থা খারাপ। এছাড়া সরঞ্জাম তৈরির উপকরণ কয়লা আগের চেয়ে দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে। লোহার দামও বেড়ে যাওয়ায় ছুরি, চাপাতি, দা-বটির দাম একটু বেশি পড়ছে।

আরও পড়ুনঃ  স্বাস্থ্যবিভাগের গাড়ির চিকিৎসা জরুরি!

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন