শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিরসরাইয়ের গ্রিন ব্লক সারাদেশে

মিরসরাইয়ের গ্রিন ব্লক সারাদেশে

মিরসরাইয়ে তৈরী হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব গ্রিন ব্লক। যা ইতোমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাড়ি নির্মানে ধীরে ধীরে বাড়ছে ইটের পরিবর্তে ব্লকের ব্যবহার। দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে ব্যবহার হচ্ছে মিরসরাইয়ের তৈরী পরিবেশবান্ধব ব্লক। এছাড়াও সারাদেশে সরবারাহ করা হচ্ছে এসব গ্রীন ব্লক।

গ্যাসমিন নামের একটি প্রতিষ্ঠান মিরসরাইয়ের ধুমঘাটে স্থাপন করেছে গ্রীন ব্লক নামে দুটি কারখানা। যেগুলোতে তৈরী হচ্ছে ২০ ধরনের ব্লক। প্রতিদিন গড়ে ৩০ হাজার ব্লক উৎপাদন হয় এখানে। কারখানা, দালান নির্মাণ, ঘরের মেঝেসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয় এসমস্ত ব্লক।

কোনরূপ হাতের স্পর্শ ছাড়াই জার্মান প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয় এসব ব্লক। আর ব্লক তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ২.৫ এফএম সিলেট বালু, ১.৫ এফএম লোকাল বালু ওপিসি সিমেন্ট, হাইগ্রেড এডমিক্সার, নূড়ি পাথর ও কংক্রিট। একটি ব্লকের সমান ৫টি সাধারণ ইট। ফলে ইমারত নির্মাণে খরচ ও ওজন পরিমাণ কমে যায়।

গ্রীণ ব্লক কারখানার ম্যানেজার এনামুল হক বলেন, ২০১৬ সালে একটি কারখানা দিয়ে আমরা উৎপাদন শুরু করি। ধীরে ধীরে ব্লকের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের নভেম্বরে জার্মান থেকে মেশিন এনে নতুন আরো একটি কারখানা নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে আমাদের তৈরি ব্লক পায়রা বন্দর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর, প্যাসেফিক জিন্স, বিএসআরএম, জিপিএস ইস্পাতসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানায় ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন সরকার কংক্রিট হলো ব্লকের ভ্যাট রিবেইটের পাশাপাশি অন্যান্য ব্লকের ভ্যাট রিবেইটের সুযোগ দিলে দেশে এই ব্যবসা আরো বেশি প্রসার হবে। ফলে রক্ষা পাবে কৃষি জমি।

আরও পড়ুনঃ  শপথ নিলেন ইসির সদস্যরা, বৈঠক আজ

ব্লক নির্মাণের সাথে জড়িত শ্রমিকরা জানান, ৫টি ইটের সমান একটি ব্লক। ফলে ব্লক দিয়ে ঘর নির্মাণ করলে খরচের পাশাপাশি ভূমিকম্পে ক্ষতি সম্ভাবনা থাকে না। এছাড়া ব্লক দিয়ে তৈরি ইমারত শীতকালে গরম ও গরমকালে ঠান্ডা থাকে।

এবিষয়ে জানতে চাই গ্যাসমিন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট আইটি বিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান রুহেল বলেন, মাটি দিয়ে ইট তৈরির কারণে কৃষি জমি উর্বরতা হারানোর পাশাপাশি পরিবেশ ক্ষতির মূখে পড়ছে। উন্নত দেশে কোন ইট ভাটা নেই। হলো ব্লক দিয়ে ইমারত নির্মাণ করলে ২০-২৫ শতাংশ খরচ কম। এছাড়া সাধারণ ইটের তুলনায় এটি ওজন কম হওয়ায় ভূকম্পন রোধে সহায়তা করে।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন