শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বস্তির আভাস ভোজ্যতেলের বাজারে

স্বস্তির আভাস ভোজ্যতেলের বাজারে

আসছে পাম তেল

প্রায় তিন সপ্তাহ পর পাম তেল রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে শীর্ষ সরবরাহকারী ইন্দোনেশিয়া। গত ২৮ এপ্রিল কার্যকর হওয়া এ বিধিনিষেধ উঠে যাবে আগামীকাল সোমবার। রপ্তানি বাজার খুলে দেওয়ার ঘোষণায় পাম তেলের সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটতে শুরু করেছে। আশাবাদী হতে পারে বাংলাদেশিরাও। কারণ বাংলাদেশ প্রায় ৮০ শতাংশ ভোজ্যতেল আমদানি করে ওই ইন্দোনেশিয়া থেকেই।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে গত বছরের নভেম্বর থেকে পাম তেল নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সরকার। স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের দাম অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় গত এপ্রিলের শেষের দিকে পাম তেল রপ্তানি নিষিদ্ধ করে তারা। এতে বৈশ্বিক ভোজ্যতেলের বাজারে যেমন ঘাটতি তৈরি হয়, তেমনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয় পাম চাষিরা। এমনিতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে ভোজ্যতেল সরবরাহে ঘাটতি চলছে, তার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার অপ্রত্যাশিত নিষেধাজ্ঞায় হু হু করে বাড়তে থাকে দামও।

বৈশ্বিক চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ একাই সরবরাহ করে ইন্দোনেশিয়া। এরপর রয়েছে প্রতিবেশী মালয়েশিয়া।বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগের চার দিনে প্রায় ৯০ হাজার টন তেল আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়। এসব তেল জাহাজে তোলার আগেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়ে যায়। ফলে আটকে যায় এসব আমদানি।

গত শুক্রবার ইন্দোনেশীয় অর্থনীতি মন্ত্রী এয়ারলাঙ্গা হার্তার্তো বলেছেন, দেশে এক কোটি টন ভোজ্যতেলের মজুত নিশ্চিত করতে সরকার পাম তেলের ওপর দেশীয় বাজার বাধ্যবাধকতা (ডিএমও) আরোপ করবে। তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিএমওর আকার নির্ধারণ করবে, যা প্রতিটি উত্পাদককে অবশ্যই পূরণ করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  সোনারগাঁয়ে শুরু হলো মাসব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলা

ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতি মন্ত্রী বলেছেন, চাহিদার বিপরীতে দেশটির মাসিক ভোজ্যতেলের মজুত গত মার্চ মাসে যেখানে ৩৩ শতাংশ ছিল, নিষেধাজ্ঞার কারণে তা বেড়ে ১০৯ শতাংশে পৌঁছেছে। এছাড়া প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম ১৯ হাজার ৮০০ রুপিয়া (১১৮ দশমিক ১৯ টাকা) থেকে কমে ১৭ হাজার রুপিয়ায় (১০১ দশমিক ৪৮ টাকা) দাঁড়িয়েছে।

এদিকে পাম তেলের দাম বাড়তে থাকায় আমদানিও কমে আসছিল। চলতি অর্থবছরের ১৫ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যাংক টার্মিনাল থেকে ১১ লাখ ৯৬ হাজার টন পাম তেল খালাস করেছেন ব্যবসায়ীরা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ১২ লাখ ১৮ হাজার টন পাম তেল খালাস করেন তারা। অর্থাৎ এ সময়ে আমদানি কমেছে প্রায় ২৩ হাজার টন।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন