জামালপুর জেলার ইসলামপুরে যমুনার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বামতীর সংরক্ষণ বাঁধে ব্যাপক ধস দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, গত বুধবার বিকালে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে জেলার ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি পূর্বপাশে অন্তত ২০ মিটার অংশে বাঁধ ধসে যায়। এতে হুমকির মুখে পড়েছে কুলকান্দি শামছুন্নাহার উচ্চ বিদ্যালয়, ঐতিহ্যবাহী মিয়া বাড়ি মসজিদ, মাদরাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুলকান্দি মাগুন মিয়ার বাজার, অসংখ্য বসতবাড়ী ও ফসলি জমি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২০১০ সালে প্রমত্তা যমুনার ভাঙন প্রতিরোধে জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ফুটানি বাজার থেকে শুরু করে ইসলামপুর উপজেলার উলিয়াবাজার পর্যন্ত এবং সরিষাবাড়ি উপজেলার পিংনা পর্যন্ত মোট ১৬ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। প্রকল্পটি জামালপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর অধীনে মোট ৪৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০১০ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০১৭ সাল নাগাদ শেষ হয়। এ বাঁধ নির্মাণের ফলে ইসলামপুর উপজেলার পার্থশী, কুলকান্দি, বেলগাছা ও চিনাডুলি ইউনিয়নের বিশাল এলাকা নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পায়। তবে প্রতিবৎসর বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করে বাঁধ ধসে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এতে আবারও আতংঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, বাঁধের ধস প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আবারও অসংখ্য বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কুলকান্দি হার্ডপয়েন্টের পূর্বপাশে বাঁধ ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। হয়তো খুব দ্রুত সময়ের মাঝে ক্ষতিগ্রস্ত অংশে মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।