শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইন্দোনেশিয়ায় পামচাষিদের বিক্ষোভ

ইনিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ইন্দোনেশিয়ার

রপ্তানি বন্ধের প্রতিবাদ–

  • রাস্তায় নামবেন ২২ প্রদেশের চাষিরাও

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির মধ্যেই পাম তেল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছিল ইন্দোনেশিয়া। সরকারের ওই সিদ্ধান্তে রোজগার অর্ধেকে নেমে গেছে অভিযোগে গত মঙ্গলবার রাজধানী জাকার্তায় বিক্ষোভ করেছেন শত শত কৃষক।

পাম তেল বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত উদ্ভিজ্জ তেল। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পাম তেল উৎপাদন করে ইন্দোনেশিয়া। বিশ্ববাজারে সরবরাহের অর্ধেক তারাই জোগান দেয়। স্থানীয় বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ইন্দোনেশিয়ার পাম চাষিরা। সেখানে পাম ফলের দাম নেমে গেছে প্রায় অর্ধেকে।

ভোজ্যতেলের বাজারে ইন্দোনেশিয়ার অনুপস্থিতির সুযোগে সরবরাহ বাড়িয়ে দিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী মালয়েশিয়া। তাতে লাভবানও হচ্ছে দেশটি। ইন্দোনেশিয়ায় বিক্ষোভকারীদের হাতে বিভিন্ন ধরনের ব্যানার দেখা গেছে। তার একটিতে লেখা ছিল, ‘মালয়েশীয় কৃষকদের মুখে বড় হাসি, ইন্দোনেশীয় কৃষকরা দুর্ভোগে’।

এক বিবৃতিতে ইন্দোনেশিয়ার ক্ষুদ্র কৃষকদের সংগঠন আপকাসিনদো বলেছে, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পর পাম ফলের দাম আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ভিত্তিমূল্যের চেয়ে ৭০ শতাংশ নিচে নেমে গেছে। ইন্দোনেশিয়ায় স্বাধীন কৃষকরা সাধারণত ভিত্তিমূল্যের নিশ্চয়তা পান না। এটি নির্ধারিত হয় কারখানা ও বড় মাপের সমিতিগুলোর মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে।

আপকাসিনদোর হিসাবে, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পর থেকে ইন্দোনেশিয়ার অন্তত ২৫ শতাংশ পাম তেল কারখানা স্বাধীন কৃষকদের কাছ থেকে পাম কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। যার অর্থ, কারখানার ট্যাংকিগুলো হয়তো পূরণ হয়ে রয়েছে।

সংগঠনটি জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার অন্য ২২টি প্রদেশেও একইভাবে বিক্ষোভে নামবেন পাম চাষিরা। কৃষকেরা বলেন, দাম কমে যাওয়ায় অনেকেই ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হবেন না। পাশাপাশি বন্দরগুলোতে জায়গা না থাকায় মিলগুলো নতুন করে পাম তেল ফল কিনছে না।

আরও পড়ুনঃ  রোজায় ৬ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ

এরআগে সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় রান্নার তেলের দাম বেড়েছে। এতে দেশটির অনেক শহরেই গণবিক্ষোভ হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সরকার রান্নার তেলের দাম লিটারে এক ডলারের কম নির্ধারণ করে দেয়, যদিও বাজারে তা ১ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।

উল্লেখ্য, এ বছর বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত পাম তেলের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ বেড়েছে। কারণ শীর্ষ উৎপাদক দেশ ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় উৎপাদন কমেছে। পাশাপাশি জানুয়ারি মাসে ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রপ্তানির ওপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে, যা মার্চ মাসে তুলে নেওয়া হয়।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন