মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দীর্ঘ ৪ মাস ধরে চলছে খরা। এবার আলু মৌসুমের প্রথম দিকে অথাৎ গেলো নভেম্বর মাসে অসময়ে টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে আলুর আবাদ নষ্ট হলেও এ পর্যন্ত আর বৃষ্টির দেখা মিলেনি। এরই মধ্যে এ অঞ্চলে আলু উত্তোলন প্রায় শেষের দিকে। গত কয়েকদিন আগে জেলার কোথাও কোথাও বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও শ্রীনগরে কোনো বৃষ্টি হয়নি। অতি খরার কারণে এসব জমি এখন শুকিয়ে কয়লা হয়ে যাচ্ছে। কৃষক বাধ্য হয়েই চাষাবাদের জন্য শ্যালো ইঞ্জিনের মাধ্যমে জমিতে পানি সেচ করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জমিতে আলু উত্তোলনকৃত জমিগুলোতে অন্যান্য ফসলি জমিগুলো চাষাবাদের অপেক্ষায় আছে। খরার কারণে কোনো বীজ ছিটানো যাচ্ছে না। কারণ হিসেবে জানা যায়, প্রায় ৪ মাস যাবত কোনো বৃষ্টি না হওয়ায় এসব কৃষি জমিতে রস শুকিয়ে গেছে। তাই কোনো ফসলের বীজ বপন করা হলেও এসব বীজ ফুঁটবে না। লক্ষ্য করা গেছে, অনেকই আবার পাট ও আমন ধানের আবাদ করার জন্য অতিরিক্ত খরচে বৃষ্টির বিকল্প হিসেবে জমিতে পানি সেচ ব্যবহার করে হালচাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। আলু উঠানো শেষে বৃষ্টির অপেক্ষায় এসব দুই ফসলী জমিতে অন্যান্য চাষাবাদে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। খুব শিগগিরই যদি বৃষ্টির দেখা না মিলে তাহলে বেশীর ভাগ জমিই পতিত অবস্থায় পড়ে থাকবে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, অতি খরায় এ অঞ্চলের শস্য উৎপাদনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এতে জমিতে ফসলের কাঙ্খিত ফলন পাওয়া যাবে না।