বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনলাইন ব্যবহারে অজ্ঞ ব্যাংক পরিচালকরা

বাংলাদেশকে “ডিজিটাল বাংলাদেশ” হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিনিয়ত কাজ করছে বর্তমান সরকার। কিন্ত রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেসব পরিচালক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, তবে তদের অনেকেই সঠিকভাবে অনলাইনের ব্যবহার জানে না। এছাড়াও ব্যাংক পরিচলানা-সংক্রান্ত আইন, বিধি বিধান, সার্কুলার অনলাইনে দেখতে পারেন না।

তবে তাদেরকে এই বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে অনলাইন ব্যবহারের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা জানায়, মার্কিন গবেষকেরা ধারণা করেছিলেন, ২০১৭ সালের মধ্যে তাদের ৬০ শতাংশ নাগরিক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা নিবে। তবে সেদিকেই এগোচ্ছে দেশটি। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই নয়, সারা বিশ্বই ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে উৎসাহী।

অথচ ২০১৯ সালের শেষে এসে বাংলাদেশের নাগরিক তো দূরের কথা, ব্যাংকের পরিচালকদের এখন অনলাইন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হচ্ছে। এটা হাস্যকর যে, ডিজিটাল বাংলাদেশে ব্যাংক পরিচালকরা অনলাইনের ব্যবহার জানেন না!

আরও সিদ্ধান্ত হয় যে, প্রকল্প পরিদর্শন বা পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত সব পরিদর্শন প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি শুদ্ধাচার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বরাবর পাঠাতে হবে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধীন থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্ব স্ব ওয়েবসাইটে শদ্ধাচার সেবাবক্স হালানাগাদকরণ করতে হবে। এছাড়াও প্রতি ত্রৈমাসিক কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন প্রতিবেদন পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের শুদ্ধাচার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বরাবর পাঠাতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  সর্বোচ্চ ঋণও টার্গেটের কম

 

আনন্দবাজার/এম.কে

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন