শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের গন্তব্য বাংলাদেশ

ভারতের গন্তব্য বাংলাদেশ
  • নবম থেকে চতুর্থ ধাপে উন্নীত
  • প্রথম সাত মাসে বেড়েছে ৮১ শতাংশ

সাম্প্রতিক সময়ে দূরবর্তী দেশগুলো থেকে সমুদ্রপথে আমদানি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে। ফলে বর্তমানে ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রফতানি গন্তব্য হিসেবে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। ভারতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে বাংলাদেশে তাদের রফতানি বেড়েছে ৮১ শতাংশ। যার পরিমাণ ৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। যদিও ভারতের অর্থবছর শুরু হয় এপ্রিলে।

সূত্রমতে, দুই বছর আগেও বাংলাদেশ ছিলো ভারতের নবম সর্বোচ্চ রফতানি গন্তব্য। সাম্প্রতিক আমদানি বিবেচনায় বাংলাদেশ এখন ভারতের চতুর্থ রফতানি গন্তব্যের তালিকায় উঠে এসেছে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে বাংলাদেশের রফতানি বাড়ছে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হারে। এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রথম পাঁচ মাসে বাংলাদেশের রফতানি বেড়েছে ২৪ শতাংশেরও বেশি হারে।

রফতানির ৮০ শতাংশের বেশি আসে পোশাক খাত থেকে। এই খাতের মূল কাঁচামাল কটন ও ইয়ার্নের ৯৮ শতাংশই আমদানিনির্ভর। এর মূল উৎস চীন, ভারত, আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল। কিন্তু চলতি বছর জাহাজে পন্য আমদানিতে বড় ধরণের সংকট তৈরি হওয়া, কন্টেইনার ভাড়া কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় ভারত বাদে ওইসব দেশ থেকে আমদানি কঠিন হয়ে গেছে।

অপেক্ষাকৃত সহজ যোগাযোগের সুযোগ থাকায় বিকল্প হিসেবে ভারত থেকে আমদানিতে মনযোগ বাড়ান বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সম্প্রতি চীনের বিদ্যুত সরবরাহে বিভ্রাট। এই কারনে সেখানকার উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটায় বাংলাদেশের আমদানিকারকরা বিকল্প পথে আমদানিতে গুরুত্ব দিতে থাকেন। অন্যান্য দেশ থেকে যখন আমদানি বিঘ্নিত হচ্ছে, তখন ভারতে সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়িয়ে বিদ্যমান বাধা দূর করতে উভয় দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানামুখী আলোচনা চলছে।

আরও পড়ুনঃ  সেতুতে পারাপারে কড়াকড়ি

ভারতীয় প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সাত মাসে ভারত সবচেয়ে বেশি রফতানি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। শীর্ষ পাঁচ রফতানি বাজারের তালিকায় এরপর রয়েছে যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, বাংলাদেশ ও হংকং। বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানি হওয়া শীর্ষ পাঁচ পণ্যের মধ্যে রয়েছে তুলা, সিরিয়াল, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি, যানবাহন যন্ত্রাংশ, মেশিনারি এবং মেকানিকাল অ্যাপলায়েন্সেস।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কোভিডের নতুন রূপ অমিক্রনের ভ্যারিয়েন্ট চীনের কয়েকটি প্রভিন্সে বাড়তে থাকায় কিছু এলাকায় ফের লকডাউন শুরু হয়েছে। এই সমস্যা চলতে থাকলে চীন থেকে আমদানি ফের ব্যাহত হতে পারে বলেও শঙ্কার কথা জানান ব্যবসায়ীরা।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন