শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সূচকে পতন লেনদেনে মিশ্র

সূচকে পতন লেনদেনে মিশ্র
  • দর বেড়েছে ৪৯ ভাগের, কমেছে ৩৮
  • কেনার চেয়ে বিক্রির চাপ বেশি
  • ডিএসইতে শীর্ষে শিপিং করপোরেশন
  • সিএসসিতে শীর্ষে বেক্সিমকো

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সব ধরনের সূচক গতকাল বুধবার পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। আগের কার্যদিবস থেকে ডিএসইর লেনদেন পরিমাণ কমলেও সিএসইর বেড়েছে। এদিন দুই স্টকে বেড়েছে ৪৯ শতাংশ এবং কমেছে ৩৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বুধবার দুই পুঁজিবাজারে সব ধরনের সূচক কমেছে। এদিন শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রয় চাপ কিছুটা বেশি ছিল। এদিন দুই স্টকের ৪৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইর ৫১ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং সিএসইর ৪৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর পতন হয়। অপরদিকে দুই স্টকের ৩৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর উত্থান হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইর ৩৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং সিএসইর ৪০ দশমিক ৪৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর উত্থান হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর এ ধরনের বাড়া-কমাকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন বিনিয়োগকারীরা বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, নন ব্যাংকিং আর্থিক, বীমা, বিবিধ, ওষুধ রসায়ন, সেবা আবাসন, টেলিকমিউনিকেশন এবং বস্ত্র খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর পতন হয়েছে। এদের মধ্যে নন ব্যাংকিং আর্থিক খাতের ২৩টির মধ্যে ১৯টি, বীমা খাতের ৫২টির মধ্যে ৩২টি, বিবিধ খাতের ১৪টির মধ্যে ৯টি, ওযুধ রসায়ন খাতের ৩২টির মধ্যে ২০টি, সেবা আবাসন খাতের ৪টির মধ্যে ৩টি, টেলিকমিউনিকেশন খাতের ৩টির মধ্যে ২টি এবং বস্ত্র খাতের ৫৮টির মধ্যে ৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর পতন হয়েছে। এছাড়া সিমেন্ট, সিরামিক, পাট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর উত্থান হয়েছে। এদের মধ্যে সিমেন্ট খাতের ৭টির মধ্যে ৪টি, সিরামিক খাতের ৫টির মধ্যে ৪টি, পাট খাতের ৩টির মধ্যে ২টি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের ৪২টির মধ্যে ২২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর উত্থান হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ভাসানচর পৌঁছালো ২ হাজার রোহিঙ্গা

দুই স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রমতে, ডিএসইতে গতকাল বুধবার লেনদেন হয়েছে ৭৩৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস সোমবার লেনদেন হয়েছিল ৮৭২ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৩৩টির, কমেছে ১৯৬টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৪৮টির। টাকার অংকে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ কোম্পানি হলো- বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, বেক্সিমকো, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, বিকন ফার্মা, ওয়ার ব্যাংক, সোনালী পেপার, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, পাওয়ার গ্রিড, ফরচুন সুজ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৩১ দশমিক ১৪ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ১ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট ও ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৪ দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ৫২২ দশমিক ৩১ পয়েন্টে ও ১ হাজার ৪২৭ দশমিক ২৭ পয়েন্টে।
সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৫১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১১৯টির, কমেছে ১৩৮টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২৭টির। টাকার অংকে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো, এসসিসি ব্যাংক, এমিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, ইবিএল, বিবিএস কেবলস, জিএসপি ফাইন্যান্স, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, আইএফআইসি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, রবি।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৭ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৬২১ দশমিক ৫০ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ৪ দশমিক ১১ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৮৮ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ১২ দশমিক ১৮ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক ৩ দশমিক ২১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৪৬৭ দশমিক ১৩ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৮৩০ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৭৮৮ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে ও ১ হাজার ২০৯ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে।

আরও পড়ুনঃ  সম্পর্কেই সংকট উত্তোরণ

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন