বাংলাদেশ জাতীয় পাটির চেয়ারম্যান ও ভোলা-১ আসনের সাবেক এমপি ব্যারিষ্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেছেন বড় নেতা হওয়ার আগে ভাল মানুষ হওয়া জরুরী। আমরা যেন কোটা বৈষম্য বিরোধী আনেআলনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের রক্তের সাথে বেঈমানী না করি।
গত কাল (২২ আগষ্ট) বৃহস্পতিবার বিকালে ভোলা উকিল পাড়াস্থ্য নিজ বাসভবন চত্বরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনতার উদ্দেশ্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি অরো বলেন, শৈ^রাচার আওয়ামীলীগ সরকারের ১৭ বছরের অত্যাচারের কাহিনী ১৭ মিনিটে বলে শেষ করা যাবেনা। আমাদের তিনবারের সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেশে বন্দি করে রেখেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য বাহিরে যেতে দেননি। আসার সময় দেখা করে আসলাম তার শরীরের কি অবস্থা। এমন কোন অত্যাচার নাই যেটি আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা করেননি।
আওয়ামীলীগ কি ভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তাদের এমন অত্যাচার ছিল একজন ফেরীওয়ালাকেও ছাড়েননি। আমার বাবাকে অত্যাচার, বাড়িতে গুলি, আগুন, নেতা-কর্মীদের নামে হাজার হাজার মামলা দিয়ে ভোলা ছারা করা, বাড়ি ঘর ও জমি দখল, মানুষের গরু, ছাগল, মহিষ চুরি করে খামার বানানো সেই অত্যাচারীরা আজ কোথায়। আল্লাহর তরফ থেকে তাদের উপর গজব নাজিল হয়েছে। আওয়ামীলীগের সাবে এমপি তোফায়েল আহমেদের উদ্দেশ্যে পার্থ বলেন, আপনি আজ কি অবস্থায় আছেন ? ৬৯ সালের গনঅভ্যাথানের কথা বলে রাস্তায় বেড় হতেন, কত মানুষের প্রাণ আপনি নিয়েছেন, বংশের মধ্যে কতগুলো চোর বানিয়েছেন, তারা আজ আপনার পাশে নাই, মানুষের ভয়ে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আজ দেখেন নাজিউর রহমানের বংশধর ছেলেরা, মোশারেফ হোসেন শাজাহানের বংশধর ভাই, ছেলেরা ভোলার জনতার পাশে রয়েছে। ভোলায় আর কোন অত্যাচারী, দখল ও চাদা বাজদের স্থান হবেনা। আপনারা কারে ক্ষতি করার চিন্তা ভাবনা করবেননা।
কোটা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আনোলনে আমরা নতুন দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি, আমি শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি। তত্ত¦াবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছে, তারা রুটিন কাজ করে, আমরা তাদেরকে সহযোগীতা করবো, তারা দেশ সংস্কার করে সময় মত নির্বাচনের ব্যাবস্থা করবেন। সংক্ষিপ্ত সভায় বিজেপির আহবায়ক আমিরুল ইসলাম রতন ও সদস্য সচিব মোতাছিম বিল্লাহ বক্তব্য রাখেন।
ব্যারিষ্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে শৈ^রাচার আওয়ামীলীগ সরকার গ্রেপ্তার করার পরে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে এই প্রথম তিনি ভোলায় আসেন। দুপুর দেড়টায় সড়ক পথে ভেদুরিয়া ফেরী ঘাটে পৌছলে হাজার হাজার নেতা-কর্মী তাকে ফুল দিয়ে বরন করেন। ৯কিলো মিটার রাস্তার দুই পাশে দাড়িয়ে হাজার হাজার নারী-পুরুষ তাকে অভ্যথনা জানান, বিকাল সাড়ে ৪টায় তিনি শহরের উকিল পাড়ার বাস ভবনে পৌছান। সেখানেও তাকে হাজার হাজার নেতা-কমী ফুল দিয়ে বরন করেন।