শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মৌলভীবাজার -১ ( জুড়ী-বড়লেখা) নোয়াখালীর তিন থানার ওসির দায়িত্ব পরিবর্তন নোয়াখালীর দুটি আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে চরজব্বর, সদর ও সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পরিবর্তন করা হয়েছে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে এক অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নোয়াখালী-৪ আসনের চরজব্বর থানার রফিকুল ইসলামকে জেলা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে, তার স্থলে কবিরহাট থানার ওসি হুমায়ুন কবিরকে; একই আসনের সদর থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনিকে জেলা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে, তার স্থলে আদালতের পরিদর্শক মো. শাহ আলম এবং নোয়াখালী-২ আসনের সেনবাগ থানার ওসি নাজিম উদ্দিনকে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে দিয়ে তার স্থলে জেলা পুলিশ লাইনের আরওআই আমির হোসেনকে সেনবাগ থানায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আদেশে আরও বলা হয়, কবিরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন ওই থানার নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে এবং পুলিশ কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন সোনাইমুড়ীর নাটেশ্বর ইউনিয়নে আরওআই আমির হোসেনের প্রতিস্থাপিত দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে তিন থানার ওসিকে নির্বাচনের দিনের জন্য দায়িত্ব পরিবর্তন করা হয়েছে। পরদিন থেকে তারা স্বপদে ফিরে যাবেন। নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন (ট্রাক) এবং নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনের স্বতন্ত্র আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক (কাঁচি) ওসিদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এ দুই প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিচ্ছেন ভোটাররা।

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাপা প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনের জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ উদ্দিন নির্বাচন বর্জন করে সরে দাঁড়ালেন। সুষ্ঠুো পরিবেশে ভোটগ্রহণ হবে না এমন আশঙ্কার কথা প্রকাশ করে শনিবার (০৬ জানুয়ারি) বিকেলে তার ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় এই ঘোষণা দেন জাপা মনোনীত লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ উদ্দিন।

নির্বাচন বর্জন প্রসঙ্গে আহমেদ রিয়াজ বলেন, আগামীকাল যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই নির্বাচনে আমি জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী ছিলাম। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সরকার দলের বর্তমান এমপি পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন। প্রশাসনের উপর আমার কোনো ধরনের অভিযোগ নেই। বড়লেখা-জুড়ী দুইটি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জের সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি।

আহমদ রিয়াজ বলেন, একজন মন্ত্রীর সাথে নির্বাচন করতে গিয়ে বেলা শেষে বুঝতে পারলাম এই নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না, কারণ একজন রানিং মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ্যাকশনে যাওয়ার মতো রিটার্নিং কর্মকর্তা, থানা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কেউ ওনার বিরুদ্ধে যাবে না।

আমি/আমার নির্বাচনী জনসভায় যারা আমাকে সমর্থন দিয়েছিলেন এবং আমাকে ভালোবেসে যারা ভোট কেন্দ্রে আসবেন তাদের ভোট রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা আজ মনে হচ্ছে আমি রাখতে পারবো না। আমার এজেন্ট ও সমর্থকদের নিরাপত্তার অভাববোধ করছি। আমি চাইনা তারা মামলার শিকার হোক। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে এই নির্বাচন থেকে আজ সরে গেলাম।

তিনি আরোও বলেন, আমি কেন বার বার কাউকে মন্ত্রী বানাতে সিঁড়ি হবো, নির্বাচন বর্জন করে প্রমাণ করে দিলাম আমাকে কেউ টাকা দিয়ে ডামি প্রার্থী করতে পারেনা। আগামীকাল ৭ জানুয়ারি লাঙ্গল মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে আসবেন না। আমি এমপি হওয়ার চেয়ে মনে করি মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে আসুক। আমি বিগত ১০-১১ দিন বড়লেখা-জুড়ী নির্বাচনী এলাকার বহু স্থানে ভোটার, সুশীল সমাজের সাথে মতবিনিময় ও গণসংযোগ করেছি। আমি আপনাদের বলেছিলাম ভোটাধিকার রক্ষা করতে পারলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবো কিন্তু আজ মনে হচ্ছে আমি আপনাদের ভোট রক্ষা করতে পারবো না তাই আমি এই নির্বাচন বর্জন করলাম।

আরও পড়ুনঃ  রেমিট্যান্সে ফের ভাটা

কারও পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ দেওয়া হয়নি। বরং মন্ত্রী (আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাহাব উদ্দিন) ও তার পরিবারের এত সমালোচনা করেছি, কিন্তু বিন্দু পরিমাণ আমাকে কোনো ধরনের কাউন্টার দেওয়া হয়নি। এমনকি প্রশাসনের ওপর আমার কোনো ধরনের অভিযোগ নেই। বড়লেখা-জুড়ী উপজেলার পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সবসময় আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন, সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার সবাই যোগাযোগ করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন