শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোটের মাঠে এগিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ কসবা-আখাউড়া আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। টানা তৃতীয় বারের মতো তিনি এ আসন থেকে নৌকার মাঝি হয়ে ভোটের মাঠে লড়ছেন। তবে এ আসন থেকে শেষ পযর্ন্ত আরো দুইজন প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। তারা হলেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এসপিপি) শাহীন খান ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস। তবে সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ এ উপজেলার বাসিন্দা নন।

এ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন জাতীয় পার্টির তারেক আহমেদ আদেল ও জাকের পার্টির জাহাঙ্গীর আলম। নির্বাচনে মাঠে থাকা ওই দুইজন প্রার্থী সাধারণ ভোটারদের কাছে অনেকটাই রয়েছেন অপরিচিত মুখ। তবে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক একজন হ্যাভিওয়েট প্রার্থী। তিনি পরপর দুই বার আইনমন্ত্রী হয়ে এলাকায় হাজারো মানুষের কর্ম সংস্থান সৃষ্টি, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, সরকারি বেসরকারি অবকাঠামোসহ সংসদীয় আসনে ব্যাপক উন্নয়ন করেন। সেইসাথে দলকে নিজস্ব ধারায় সুসংগঠিত করেছেন। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডে তিনি তৃণমূলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। উন্নয়নের সুবাদে ভোটের মাঠে নির্ভার রয়েছেন উন্নয়নের এই রূপকার।

আনিসুল হক কসবা উপজেলার পানিয়ারুপ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বরেণ্য আইনজীবি মরহুম এড. সিরাজুল হকের সুযোগ্য পুত্র। তাছাড়া ন্যাশনাল পিপল্স পার্টির শাহীন খানের গ্রামের বাড়ি কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলী গ্রামে ও সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা গ্রামে।

আরও পড়ুনঃ  গণছাড়েও কমেনি খেলাপি ঋণ

আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলেন, আইন মন্ত্রী আনিসুল হক সব দিক থেকেই রয়েছে সবার উপরে। দলীয় কর্মকান্ডে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে দলকে করেছেন তৃণমূল পর্যায়ে সুসংগঠিত। সেইসাথে এলাকার কাঙ্খিত উন্নয়ন কর্মকান্ড করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। নিজ এলাকায় তৃণমুল নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষাসহ বেশীভাগ সময় দিয়ে এলাকার জনগনের আস্থার প্রতীক হয়ে আছেন। সব দিক দিয়ে যোগ্য প্রার্থী টানা দুইবারের এই মন্ত্রী।

এদিকে ভোটের মাঠে আরো দুই জন প্রার্থী থাকলেও গ্রাম গঞ্জে, পাড়া মহল্লা, হাট বাজারসহ সর্বত্র আলোচনা চলছে একমাত্র আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে ঘিরে। এলাকার সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা তার পক্ষে সক্রিয় হয়ে মাঠে নেমে কাজ করে যাচ্ছেন। এর অন্যতম কারণ হলো কবসা-আখাউড়া উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন। তিনি মন্ত্রী হয়ে পাল্টে দিয়েছেন এলাকার দৃশ্যপট। এক সময়ের অনুন্নত উপজেলা এখন উন্নয়নের মডেল হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।

পৌর শহরের মসজিদপাড়া এলাকার ভোটার মো: ফরহাদ উদ্দিন বলেন, আনিসুল হক হলো গণমানুষের নেতা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পযর্ন্ত এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ডে এমন নেতা কখনো দেখেন নি। আনিসুল হকের মতো এই নেতা পেয়ে আমরা ধন্য।

ভোটার মো: আব্দুর রহমান বলেন, আনিসুল হক মানুষের চাকুরি দিয়ে কর্মসংস্থান তৈরী এলাকায় নজির স্থান করেছেন। তাছাড়া এলাকায় কাঙ্খিত উন্নয়ন করে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। এমন নেতা কসবা-আখাউড়া আসনে আমি আর দেখিনি। ওনার মতো এমন নেতা আমরা পেয়ে খুবই ভাগ্যবান মনে করছি। আমরা চাই এলাকার উন্নয়ন। তাই উনাকে তৃতীয় বারের মতো বিজয়ী করতে পারলে এলাকার উন্নয়ন হবে বলে বিশ^াস করি।

আরও পড়ুনঃ  ফলাফলে এগিয়ে ছাত্রীরা

আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভা মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, আনিসুল হক পরপর দুই বার আইনমন্ত্রী হয়ে কসবা-আখাউড়ায় হাজারো মানুষের কর্ম সংস্থান সৃষ্টি, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, সরকারি বেসরকারি অবকাঠামোসহ সংসদীয় আসনে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করেন। আসলে কসবা-আখাউড়ায় সরেজমিন না এলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবেন না যে, উনার জনপ্রিয়তা কতটা। এলাকায় তিনি এমন উন্নয়ন কাজ আর সেবা দিয়েছেন যা সব সময় মানুষ স্মরণে রাখবে। তৃতীয় বারের মতো নৗকার মাঝি হিসেবে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় আমরা উনাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিব। তিনি বলেন মঙ্গলবার আখাউড়ায় লিফলেট বিতরণ ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামবেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ইতিমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে সভা করে নির্বাচনী প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে নৌকার পক্ষে কাজ করছেন।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন