শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জ্বালানি সহায়তায় ব্রুনাই

জ্বালানি সহায়তায় ব্রুনাই

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বাংলাদেশের। এ সম্পর্ককে অর্থনৈতিক কূটনীতিতে পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে বিষয়টিকে ভিত্তি ধরে অর্থনৈতিক কূটনীতি বিষয়ে ধারাবাহিক বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে দৈনিক আনন্দবাজার। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বাংলাদেশে তিনদিনের সরকারি সফর করে ফিরে গেছেন ব্রুনাই দারুসসালামের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জুদ্দিন ওয়াদ্দৌলাহ। তার সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আজ ফারুক আহমাদ আরিফের তৃতীয় বিশেষ প্রতিবেদন ‘জ্বালানি সহায়তায় ব্রুনাই’।

বাংলাদেশে তিনদিনের সফল সরকারি সফর শেষ করে ব্রুনাই দারুসসালামের সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জুদ্দিন ওয়াদ্দৌলাহ দেশে ফিরেছেন। গতকাল সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে ঢাকা ছাড়েন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সুলতানকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদায় জানান। পৃথিবীর দীর্ঘকালব্যাপী (১৯৬৮-২০২২) ক্ষমতায় থাকা ব্রুনেইয়ের সুলতানের এটিই ছিল বাংলাদেশে প্রথম সফর।

গত শনিবার দুপুর ২টা ২২ মিনিটে বাংলাদেশে পদার্পণ করলে বাঙালি আতিথিয়তার তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। দেয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা। সফরের প্রথমদিন সুলতান জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এদিনেই বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়া তাঁর সম্মানে রাষ্ট্রপতি আয়োজিত নৈশ ভোজে অংশ নেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে।

দ্বিতীয় দিন তিনি রাজধানীর ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এদিন বিকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দুটি বৈঠক হয়। প্রথমটিতে দুইনেতার একান্ত ও অপরটি দুই দেশের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রুনাই সুলতানের সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি ও তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত (এমওইউ) হয়েছে। চুক্তিটি হলো- বিমান পরিষেবা বিষয়ে। ১. বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ, ২. নাবিকদের সনদকে পারস্পরিক স্বীকৃতি এবং ৩. বাংলাদেশকে এলএনজি ও অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহসহ তিন সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত (এমওইউ) হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ব্রুনেইয়ের সুলতান বলকিয়াহর উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও এমওইউগুলো সই হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশে ব্রুনাইয়ের ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্রুনাই সুলতান বাংলাদেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, কৃষি ও মৎস্যপণ্য, হালাল মাংস নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। জ্বালানি বিষয়ে আলোচনায় সুলতান বলকিয়াহ বলেছেন, চাহিদা অনুযায়ী তারা বাংলাদেশকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করবেন।

আরও পড়ুনঃ  মূল্যস্ফীতির চাপে গ্রাম

ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়াহর ঢাকা সফর নিয়ে ২২ দফার যৌথ বিবৃতি হয়। তাতে বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়, উভয়পক্ষ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ঐকমত্য পোষণ করেছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে ব্রুনাইকে বাংলাদেশ আহ্বান জানালে ব্রুনাই খাদ্য ও কৃষিখাতে বিনিয়োগে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানায়। সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ জনশক্তি নিতে। দেশটিতে ৩০ হাজারের মতো বাংলাদেশি কর্মরত আছে। প্রায় এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে দেশটিতে। উভয়পক্ষ মানসম্মত উচ্চতর শিক্ষাখাতে সহযোগিতা, তথ্যপ্রযুক্তি, গ্রিন টেকনোলজি ও সমুদ্র অর্থনীতিখাতে সহযোগিতা করতে ঐক্যমত হয়েছে।

জ্বালানি সংকটে ভোগতে থাকা বাংলাদেশকে চাহিদা অনুপাতে জ্বালানিখাতে সহযোগিতা দিতে সম্মত হয় ব্রুনাই। বিশেষ করে লিক্যুইড নেচারাল গ্যাস-এলএনজি, তেলখাতে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা দেবে দেশটি। ইতিপূর্বে বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে জ্বালানিখাতে সহযোগিতা থাকলেও কয়েক বছর তা বন্ধ ছিল। সফরে একমাত্র চুক্তিটি হয়েছে ‘এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্ট’। এতে বাংলাদেশের পক্ষে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এবং ব্রুনাইয়ের পক্ষে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর অফিসমন্ত্রী এবং ফাইন্যান্স ও ইকোনমিমন্ত্রী আমিন আবদুল্লাহ সই করেন।

তিনটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের মধ্যে ‘বাংলাদেশি জনশক্তি নিয়োগ’ বিষয়ে সই করেন বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ এবং ব্রুনাইয়ের পক্ষে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদিন বিন হাজি আবদুল রহমান।

জ্বালানি সংকট নিরসনে ‘তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং পেট্রোলিয়াম পণ্য’ সরবরাহ বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করেন ব্রুনাইয়ের প্রধানমন্ত্রীর অফিসমন্ত্রী এবং ফাইন্যান্স ও ইকোনমিমন্ত্রী আমিন আবদুল্লাহ এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

তৃতীয় সমঝোতা স্মারকটি হলো নাবিকদের সনদ প্রদান তথা- ‘রিকগনিশন অব সার্টিফিকেট ইস্যুড আন্ডার দ্য প্রভিশন্স অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অন স্ট্যান্ডার্ডস অব ট্রেনিং, সার্টিফিকেশন অ্যান্ড ওয়াচ কিপিং ফর সিফেয়ারস, ১৯৭৮ অ্যাজ অ্যামেন্ডেড।’ এতে বাংলাদেশের নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং ব্রুনাইয়ের প্রধানমন্ত্রীর অফিসমন্ত্রী এবং ফাইন্যান্স ও ইকোনমিমন্ত্রী আমিন আবদুল্লাহ সই করেন।

এসব সফরে সাধারণ দুই সরকার প্রধান যৌথ ব্রিফিং করে থাকেন। তবে এবার এর ব্যতিক্রম। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, ব্রুনাইয়ের সুলতানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন। বৈঠকে বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব করেছেন এবং এ লক্ষ্যে দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সমন্বিতভাবে কাজ করবেন। ব্রুনাইর সুলতান বাংলাদেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, কৃষি ও মৎস্যপণ্য, হালাল মাংস নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। জ্বালানির বিষয়ে আলোচনাকালে সুলতান বলকিয়াহ বলেছেন, চাহিদা অনুযায়ী তারা বাংলাদেশকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করবেন।

আরও পড়ুনঃ  বেস্ট হোল্ডিংসের রোড শো

ড. মোমেন জানান, বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন-কৃষি ও মৎস্য, সেবা প্রদান খাত, আইসিটি, মেরিনসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশে অনেক মেধাবী পেশাদার কর্মী রয়েছে। ব্রুনাই চাইলে তাদের নিতে পারে এবং তাদের জনশক্তির চাহিদা মেটাতে পারে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনাকালে শেখ হাসিনা বলেন, এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও নিজ দেশে ফেরত যায়নি। রোহিঙ্গাদের নিজেদের মাতৃভূতিতে ফিরে না যাওয়ার ঘটনাকে দুঃখজনক বলেন ব্রুনাইয়ের সুলতান।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ ও ব্রুনাই একত্রে কাজ করে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে মোমেন বলেন, দুদেশ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। তা ছাড়া ব্রুনাই সুলতান আমাদের কালো ছাগলের মাংস খুব পছন্দ করেন। তাকে কিছু ছাগল উপহার দেয়া হয়েছে।

দ্বিতীয়দিন সকালে রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি-এফবিসিসিআইয়ের ব্যবসায়ীনেতাদের একটি বৈঠকে অংশ নেন ব্রুনাইয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি আহমেদিন রাহমান ও অর্থমন্ত্রী দাতো হাজি মোহাম্মদ আমিন লিউই আব্দুল্লাহ।

বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী, বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান ও ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স-ফিকি’র সভাপতি নাসের এজাজ, এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি আমিন হেলালী, সালাহউদ্দিন আলমগীর ও হাবীব উল্ল্যাহ ডন। বৈঠক শেষে বাংলাদেশের ব্রুনাইয়ের হালাল খাদ্যপণ্য বিপণনে দেশটির ঘানিম ইন্টারন্যাশনাল ও বাংলাদেশের জেডইএস ট্রেডিংয়ের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই হয়। পরে গুলশানের ইউনিমার্ট লবিতে ব্রুনাই হালাল ফুডের পণ্যসামগ্রী বিক্রির জন্য একটি আউটলেটের উদ্বোধন করেন ব্রুনাইয়ের অর্থমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

পেছনে ফেরা
ব্রুনাই স্বাধীনতা অর্জনের বছরই বাংলাদেশ স্বীকৃতি দিয়ে ১৯৮৪ সালের ৫ মে আধুনিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। বাংলাদেশ ১৯৮৫ সালের জুলাই মাসে ব্রুনাইয়ের দারুসসালামে একটি হাইকমিশন প্রতিষ্ঠা করে এয়ার ভাইস মার্শাল মাহমুদ হুসেইনকে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিযুক্ত করা হয়। অপরদিকে, ১৯৯৯ সালের ২৯ জুলাই ব্রুনাই ঢাকায় একটি দূতাবাস প্রতিষ্ঠা করে। বর্তমানে নাদিয়া রহমান সুমনা দেশটিতে হাই কমিশনার হিসেবে আছে। আর ঢাকায় আছেন হাজি হারিফ বিন হাজি ওথমান।

আরও পড়ুনঃ  আইএলও কনভেনশনে ক্ষতিপূরণ দাবি

ব্রুনাইতে বাংলাদেশের হাইকমিশন ১৯৮৮ সালে বন্ধ হয়ে যায় এবং ১৯৯৭ সালে এটি পুনরায় চালু করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ ও ব্রুনাই উভয়েই ২০১৭ সালের কো-অপারেশন আফ্লোট রেডিনেস অ্যান্ড ট্রেনিং নৌ-মহড়ায় অংশ নেয়। বাংলাদেশ এবং ব্রুনাই উভয় দেশেই ইসরায়েলি নাগরিকদের নিজ দেশে প্রবেশের অনুমতি নেই। দুটি দেশই ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার সদস্য।

২০০৮ সালে ব্রুনাই বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক চেয়েছিল। ব্রুনাই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশী প্রবাসী শ্রমিকদের দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্য এবং ২০১৩ সালে ব্রুনাই ৫ হাজার ৩৮ জন বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ করেছিল। সাড়ে ৪ লাখ জনগোষ্ঠীর ছোট ব্রুনাই ও বাংলাদেশ এশিয়ার দুইটি বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। গত ২০১৯ সালের ২১-২৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্রুনাই সফরের মধ্য দিয়ে দুটি দেশের সম্পর্ক নতুনমাত্রা, উদ্যম ও গতিশীলতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পায়।

সে সফরে কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও শিল্প ক্ষেত্র, মৎস্য, পশুসম্পদ, গ্যাস সরবরাহ, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে ৬টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, দ্বৈতকর এড়ানো সংক্রান্ত চুক্তি, বিমান পরিষেবা চুক্তি পারস্পরিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও সুরক্ষা চুক্তি এবং শিক্ষা ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক বিবেচনাধীন ছিল।

ব্রুনাইয়ে প্রায় ১ লাখ শ্রমিক বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে। এর মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ বাংলাদেশি শ্রমিক। ব্রুনাইয়ের কন্সট্রাকশন সেক্টর সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশ থেকে আগত শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল। গত আগস্ট ২০২০- এর পর বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আমদানি প্রায় শূন্যের কোটায় চলে যায়। সুলতানের বাংলাদেশ সফরে দুই দেশের মধ্যে জনশক্তি নিয়োগে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ায় আশার আলো ফুটে উঠলো।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন