শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক নীতি অনুসরণ করেই ট্রানজিট

আন্তর্জাতিক নীতি অনুসরণ করেই ট্রানজিট
  • চুক্তির শর্তাবলী চূড়ান্ত

আন্তর্জাতিক সকল নিয়ম-নীতি অনুসরণ করেই বাংলাদেশ-ভুটান ট্রানজিট প্রকোটলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। দেশটিতে জনসংখ্যা কম হলেও ভুটান হয়ে অন্য দেশের সঙ্গে ব্যবসায়-বাণিজ্য পরিচালনা সহজ হবে। ঢাকায় গত ১৩-১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সচিব পর্যায়ের অষ্টম বৈঠকে বাংলাদেশ-ভুটান ট্রানজিট বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা হয়েছে ও চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে বলে গত ২২ সেপ্টেম্বর দৈনিক আনন্দবাজারের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফরেন ট্রেড অথরিটি-এফটিএ অনুবিভাগের ১ অধিশাখার যুগ্ম-সচিব মো. আব্দুছ সামাদ আল আজাদ।

যুগ্ম-সচিব বলেন, বাংলাদেশ-ভুটান ট্রানজিট চুক্তির শর্তাবলী চূড়ান্ত হয়েছে। অচিরেই আমরা এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। সেখানে পর্যবেক্ষণ শেষে মন্ত্রিপরিষদে যাবে। আর মন্ত্রিপরিষদ সভায় বিষয়টি অনুমোদন পেলে চলতি বছরের নভেম্বরে চুক্তিটি সম্পাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সচিব পর্যায় বৈঠকে ট্রানজিট বিষয়ে দুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ১. বাংলাদেশ-ভুটান ট্রানজিট এগ্রিমেন্ট ও প্রটোকল চূড়ান্তকরণ এবং ২. বাংলাদেশ-ভুটান ট্রানজিট এগ্রিমেন্ট এবং প্রটোকলের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত আলোচনা, বিশেষ করে তৃতীয় দেশের মধ্যদিয়ে যোগাযোগ সহযোগিতা এবং বাণিজ্য সহজিকরণ সংশ্লিষ্ট উদ্যোগসমূহ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

সামাদ আল আজাদ বলেন, আন্তর্জাতিক সকল নিয়ম-নীতি অনুসরণ করেই বাংলাদেশ-ভুটান ট্রানজিট প্রকোটলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ ভুটান বাংলাদেশ ট্রানজিটের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ট্রানজিট পরিচালনার জন্য নীতিবিধি বার্সেলোনা ট্রানজিট কনভেনশন-১৯২১ ও নিউইয়র্ক ট্রানজিট কনভেনশন-১৯৬৫ এবং ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন-ডব্লিউটিওর জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফস অ্যান্ড ট্রেড (গ্যাট) দলিলের পঞ্চম ধারায় (আর্টিকেল-৫) ‘ট্রানজিটের স্বাধীনতা’ সম্পর্কে যে নীতিমালা আছে সবগুলো মেনেই কাজ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ফের বাড়লো ডলারের দাম

যুগ্ম-সচিব বলেন, ভুটানের জনসংখ্যাও কম। দেশটি থেকে হয়তো দিনে ৮-১০টি গাড়ি যাতায়ত করবে। তবে এটি রাজনৈতিক দিক বিবেচনা করলে বড় কিছু। কেননা ভুটান আমাদের জনগণকে খুবই মূল্যায়ন করে থাকে। বিবিআইএনের সঙ্গে এই চুক্তি কোনো সম্পর্ক নেই। এখানে কত মিলিয়ন টাকার বাণিজ্য হবে তা হয়তো প্রাধান্য পায়নি। যেমন জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে।

এখন আমাদের কাজ হবে বিষয়টি নিয়ে কাগজপত্র তৈরি করা। ব্যবসায় দিকগুলো খোঁজে বের করা। নীতিগত সহায়তা করা। তেমনি ভুটান হয়ে চীন বা অন্য দেশেও ব্যবসা করা সহজ হবে। আর ভুটানের সড়কগুলোও তেমন প্রশস্ত নয় সেই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে। এতে করে সেখানে বড় গাড়ির যাতায়াতও সুবিধা হবে না। নতুন রাস্তাঘাট নির্মাণের প্রয়োজন হতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন