আবারও আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। টানা তিন কার্যদিবস নিম্নমুখী রয়েছে এই পণ্যটির বাজার। বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, ইরানের জ্বালানি তেল সরবরাহ বাড়ানোর সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় দুই বাজার আদর্শের দামই কমে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ রেকর্ড সর্বনিম্নে অবস্থান করছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেও নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম দশমিক ২ শতাংশ অথবা ১৮ সেন্ট কমেছে। যা প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৮৯ ডলার ১৮ সেন্ট।
আইসিই ফিউচারসে আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম দশমিক ১ শতাংশ অথবা ৮ সেন্ট কমেছে। এবং প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৯০ ডলার ৭০ সেন্ট।
তথ্য অনুযায়ী, পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে আবারো ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরোক্ষ আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ইরানের জ্বালানি তেল খাতের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার গুঞ্জন উঠেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শিগগিরই ইরান জ্বালানি পণ্যটির সরবরাহ নিয়ে ফিরে আসবে। তবে দাম কমলেও এখনও বিশ্ববাজারে পণ্যটির সরবরাহ সংকটের উদ্বেগ কাটেনি। গেল সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ কমেছে ২০ লাখ টন। তবে প্রত্যাশা ছিল চার লাখ ব্যারেল বাড়ার।
অন্যদিকে জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক উত্তোলন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অব্যাহতভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। প্রতি মাসে চার লাখ ব্যারেল করে উত্তোলন বাড়ানোর কথা থাকলেও কিছু দেশের সক্ষমতা কমে যাওয়ায় সেটি আর সম্ভব হচ্ছে না।
ওপেক প্লাস চলতি মাসেও সীমিত আকারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন নীতিতে অটল রয়েছে। সম্প্রতি এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোটটি।
আনন্দবাজার/টি এস পি
