শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থপাচারের অভিযোগে জেরার মুখে শিল্পকলার ডিজি

অর্থপাচারের অভিযোগে জেরার মুখে শিল্পকলার ডিজি

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) মো. লিয়াকত আলী লাকীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন ডিজি। পরে অনুসন্ধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম তাকে ইন্টারোগেশন সেলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ জানুয়ারি লিয়াকতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে চিঠি পাঠানো হয়। এতে তাকে গতকাল সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হয়ে অনুসন্ধানে সহযোগিতা করতে বলা হয়।

দুদক সূত্র জানায়, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে ঘুসগ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎসহ জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তা বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে ২ জানুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। সে অনুসারে দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়ার সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে শিল্পকলা একাডেমির ঢাকা কার্যালয়ে বরাদ্দ করা বাজেট ও ব্যয়সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংবলিত নথির ফটোকপি এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে অব্যয়িত ৩৫ কোটি টাকা ২০২১ সালের ৩০ জুনে ব্যয়করণ-সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র তলব করা হয়।

এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান আয়োজন-সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংবলিত নথির ফটোকপি, ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ব্যয়-সংক্রান্ত বিভিন্ন ভাউচার-ক্যাশ বই এবং শিল্পকলা একাডেমি নামীয় সোনালী ব্যাংক (সেগুনবাগিচা শাখা) অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্টের কপি।

আরও পড়ুনঃ  খুন করে জেলে ঢুকে বোনের ধর্ষককে হত্যা

প্রায় এক যুগ ধরে মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে অনিয়মের মাধ্যমে ২৬ কোটি টাকা তুলে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চুক্তিভিত্তিক এক কর্মকর্তাকে সচিবের দায়িত্ব দিয়ে এ অর্থ উত্তোলন করে নেন লিয়াকত আলী লাকীসহ একটি সিন্ডিকেট।

আনন্দবাজার/এম.আর

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন