শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদেশে পরিবেশবান্ধব দেশে দূষক

বিদেশে পরিবেশবান্ধব দেশে দূষক

বর্ষবরণের আনন্দ উদযাপন করতে গিয়ে বিশ্বজুড়ে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। অনেকে দেশে যানবাহনে অগ্নিকাণ্ডসহ বহু ধরনের দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হয়েছে। শুধু পটকা, আতশবাজি ও ফানুসের আগুনেই অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হতে হয়েছে অন্তত দেড় শতাধিক মানুষকে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমানবন্দরও। থার্টিফার্স্ট নাইটে ইউরোপ মহাদেশে পটকা, আতশবাজি ফাটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও তা মানেনি অনেকে। এতে মূল্যও দিতে হয়েছে তাদের। অন্যদিকে বাংলাদেশে শুধু রাজধানরী ঢাকাতেই ফানুস থেকে অন্তত ১০ জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সারাদেশে ৫৪ জায়গায় আগুনের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ড আর শব্দদূষণের কবল থেকে রক্ষা পেতে জাতীয় জরুরি সেবাকেন্দ্রে এসেছে বহু ফোনকল। মধ্যরাতের হঠাৎ শব্দবোমায় আতঙ্কিত হয়ে বাসা থেকে বের হয়ে এসেছে বহু পশুপাখি। যার চিত্র ছিল ঢাকা ও ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতেও।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্রমতে, গত ১ জানুয়ারি বর্ষবরণের সময় বসনিয়ায় ৯ জন, নেদারল্যান্ডে একজন, অস্ট্রিয়ায় একজন, ইরাকে একজন, লেবাননে একজন, জার্মানিতে ‍দুজন, ফ্রান্সে একজন ও এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশ মিলে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছে দেড় শতাধিক মানুষ।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিম বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার একটি কটেজে ৮ যুবক ও এক নারীর মৃত্যুর হয়েছে। তারা হাইস্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এদিকে তুরস্কে গ্যালাতাসারের নরওয়েজিয়ান ফুটবলার ওমর এলাবদেলাউই আতশবাজির কারণে চোখে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পূর্ব ফ্রান্সে ২৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি আতশবাজিতে মারা গেছেন। জার্মানির রিটজ-নিউয়েনডর্ফ শহরে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে বাড়িতে তৈরি আতশবাজির বিস্ফোরণে। পশ্চিম জার্মানির ওসনাব্রুক শহরে বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু ও দুজন আহত হয়েছে। পাবলিক স্পেসে আতশবাজি পোড়ানো নিষেধ করার পরেও কিছু বার্লিনবাসী তাদের বাড়িতে তা চালু করার চেষ্টা করেন। ফলে জার্মানির রাজধানী জুড়ে কয়েক ডজন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মাত্র ৬ মিনিটে ১৮টি কল আসে আগুনের।

লেবাননের সরকারি বার্তা সংস্থা জানায়, বর্ষবরণে বন্দুকযুদ্ধে পূর্ব লেবাননে একজন সিরীয় নারীকে হত্যা ও দুটি পৃথক ঘটনায় বৈরুতের বিমানবন্দরে পার্ক করা একটি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইরাকে বন্দুকযুদ্ধ ও আতশবাজিতে একজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছে। নেদারল্যান্ডের পুলিশ জানায়, নববর্ষ উদযাপন করতে গিয়ে ১২ বছর বয়সী এক বালকের মৃত্যু হয়েছে আতশবাজির আগুনে। বিশৃঙ্খলার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশটিতে আতশবাজির আগুনে অন্তত ৮০ জন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণে পা ও হাত হারিয়েছেন অনেকে। অস্ট্রিয়ার বেশ কয়েকটি স্থানেও আতশবাজিজনিত হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ২৩ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে দেশটির পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ  করোনায় বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি ছাড়াবে ২৮ ট্রিলিয়ন ডলার

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে নেদারল্যান্ডস ও জার্মানিতে বর্ষবরণে আতশবাজি বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও উভয় দেশের একদল উৎসাহী জনতা অবৈধভাবে আতশবাজি সংগ্রহ করে। আবার অনেকে বাসায় নিজেদের তৈরি আতশবাজি ফাটিয়ে হতাহতের মুখে পড়েন। ডাচ কর্মকর্তারা বলছেন, মহামারির মধ্যে অপ্রত্যাশিত এই ঘটনা হাসপাতালগুলোর ওপর অতিরিক্ত চাপ ফেলছে। নেদারল্যান্ডের হাসপাতালগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। আর বাংলাদেশে ৫৪টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে দেশব্যাপী।

পাবলিক প্লেসে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন ও পটকা, আতশবাজি এবং ফানুস উড়ানো নিষিদ্ধ করেছিল ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তবে সেই আহ্বান অনেকেই শুনেননি। গত ১ জানুয়ারি ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেছেন, আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে নিষেধ করতে পারবো না। টিনএজদের মধ্যে নববর্ষ ঘিরে ফানুস উড়িয়ে ও আতশবাজি ফুটিয়ে আনন্দ করতে দেখা যায়। নগরবাসীকে অনুরোধ করেছিলাম যাতে কারও আনন্দ অন্যের ক্ষতির কারণ না হয়। অনেক ক্ষেত্রে তার ব্যত্যয় হয়েছে। আগামীতে এ ধরনের উপলক্ষের আগে আমরা আরও সতর্ক থাকবো।

গেল বছরে বর্ষবরণে ইতালিতে পটকা-আতসবাজির শব্দে মারা গিয়েছিল কয়েকশ পাখি। তার আগের বছরে ফানুসের আগুনে পুড়ে গিয়েছিল জার্মানির চিড়িয়াখানার ৩০টি প্রাণী। সেই থেকে পটকা, আতশবাজি ও ফানুস উড়ানো নিধেষ করে দেশটি। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করায় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে।

পটকাবাজির শব্দে একদল চড়ুই পাখি আতঙ্কিত হয়ে একটি বাসার ড্রয়িংরুমে ঢুকে পড়ার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুলেছে। রাজধানী ঢাকার রুহি আশরাফ নামের বাসিন্দার ভিডিওতে দেখা যায়, শতাধিক চড়ুই পাখি ছোটাছুটি করছে। বাইরে আতশবাজির বিকট শব্দ। যখনই শব্দ হচ্ছে পাখিগুলোর অস্থিরতা বেড়ে যাচ্ছে। রুহি গণমাধ্যমকে বলেছেন, থার্টিফার্স্ট নাইটে চারদিকে আতশবাজির শব্দ আর আগুনের ফুলকি। ফানুস উড়ে এসে পড়ছে গাছের ওপর। আতশবাজির আগুন ছিটকে পড়ছে পাতায় পাতায়। ভয়ে-আতঙ্কে গাছে থাকা পাখিগুলো ছুটছিল আর চিৎকার কবছিল।

বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন, এনডিসি দৈনিক আনন্দবাজারকে বলেন, আমরা ইংরেজি নববর্ষে রাজধানীতে ১০টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার বিষয়ে ফোন পেয়েছি। এক্ষেত্রে দুটিতে বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা দুটি আগুন নেভাতে কাজ করেছি। তারমধ্যে একটি ধোলাইখাল ও অপরটি যাত্রাবাড়িতে। বাকিগুলো স্থানীয়রাই নিভিয়ে ফেলেছে। তিনি বলেন, আমাদের সচেতন হওয়া দরকার। আনন্দ-উৎসব করতে গিয়ে অন্যের ক্ষতির মুখে পড়তে হয় তেমন বিষয়ে বিরত থাকা দরকার।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঢাকায় অন্তত ১০টি স্থানে আগুন লাগে। এর মধ্যে সাতটি ঘটনায় কল করা হয় ফায়ার সার্ভিসকে। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও, ডেমরা, সূত্রাপুর, লালবাগ ও কেরানীগঞ্জে ওইসব ঘটনা ঘটে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মিডিয়া পাবলিক রিলেসন্স ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার দৈনিক আনন্দবাজারকে বলেন, নববর্ষ উপলক্ষে পটকা, আতশবাজি ও ফানুসের অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ৫৪টি কল এসেছে। তারমধ্যে ঢাকাতেই বেশি। এসব ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় ব্যবস্থা নিতে জানিয়ে দিয়েছি।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন আনন্দবাজারকে বলেন, পটকা, আতশবাজি ও ফানুস উড়ানোকে নিরুৎসাহিত করেছে সরকার। আইন করেও এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরও মানুষ ফাঁকফোকর দিয়ে করে থাকে। এতে মানুষ থেকে শুরু করে প্রাণিজগতেও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সকলের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিজ নিজ পক্ষ থেকেই এগিয়ে আসতে হবে। হাইড্রোলিক হর্নও শব্দদূষণে বিরাট ক্ষতির কারণ, আমরা এটি বন্ধে কাজ করছি। পরিবেশমন্ত্রী আরো বলেন, ইংরেজি নববর্ষকে ঘিরে যে উন্মাদনা তৈরি হয় এটি সকলের জন্যই ক্ষতিকর। নানান ধরনের শব্দদূষণ ও আগুনের ঘটনা ঘটে। যারা এসব কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তা ছাড়া শব্দদূষণরোধে একটি নীতিমালা প্রণয়নে কাজ চলছে। সব তো আইন করে বন্ধ করা যায় না। নিজেদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বলয় তৈরি করে এগিয়ে যেতে হয়।

রসায়নবিদদের মতে, একটি আতশবাজিতে ৭৫ শতাংশ পটাশিয়াম নাইট্রেট, ১৫ শতাংশ চারকোল এবং ১০ শতাংশ পর্যন্ত সালফার থাকতে পারে। এগুলোর প্রত্যেকটিই পরিবেশের জন্য বেশ ক্ষতিকর। তা ছাড়া বিকট শব্দ, তীব্র আলোর ঝলকানি এবং এর সঙ্গে যে পরিমাণ ক্ষতিকর রাসায়নিক কণা বাতাসে ছড়ায় তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলোর প্রত্যেকটিই পরিবেশের জন্য ভয়ংকর। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আতশবাজি ফোটানো হলেও সেগুলো পরিবেশবান্ধব, ক্ষতিকর কেমিক্যালের পরিমাণও কম। তবে বাংলাদেশে যেগুলো পোড়ানো হচ্ছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের। এতে ক্ষতিকর কেমিক্যালের পরিমাণ বেশি।

আরও পড়ুনঃ  ‘আগামী বছরের জুনের মধ্যে পদ্মা সেতুতে গাড়ি চলবে’

সেন্টার ফর এটমোস্ফিয়ার প্রেসার স্টাডিজ-ক্যাপস ২০১৭ সাল থেকে পরিবেশ নিয়ে গবেষণা করে আসছে। গবেষণায় দেখা যায়, বছরের অন্য দিনগুলোর তুলনায় ৩১ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা শহর বায়ু ও শব্দদূষণে সব রেকর্ড অতিক্রম করে। ৩১ ডিসেম্বরের তুলনায় নতুন ১ জানুয়ারি ঢাকার বায়ু ৬৬ শতাংশ পর্যন্ত বেশি দূষিত থাকে। এই সময় বায়ুমান পৌঁছায় ৫০০ একিউআই পর্যন্ত, যা মানুষের সহ্যক্ষমতার তুলনায় ৯ গুণ বেশি। একই চিত্র শব্দের ক্ষেত্রেও। চার বছর ধরে ৩০ ডিসেম্বর রাতের সঙ্গে ৩১ ডিসেম্বর রাতের শব্দমান তুলনা করছেন তারা। এতে ৩০ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত যেখানে শব্দমান ৩০ ডেসিবল পর্যন্ত পাওয়া যায়, সেখানে ৩১ ডিসেম্বর একই সময়ে পাওয়া যায় ১১০ ডেসিবল পর্যন্ত। এবার ৩০ ডিসেম্বরের তুলনা ৩১ ডিসেম্বর শব্দদূষণ ১১৩ ভাগ বেশি ছিল, যা একজন মানুষকে বধির করে দেওয়ার শক্তি রাখে।

ক্যাপসের পরিচালক ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান, বায়ুমানবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার আনন্দবাজারকে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পটকা, আতশবাজি ও ফানুস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তা ছাড়া সেসব দেশের বায়ুমান আর আমাদের দেশের বায়ুমান এক নয়। এখানে শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণ দুর্যোগ পর্যায়ে চলে গেছে। এই অতিরিক্ত বায়ুদূষণ সাধারণ মানুষ এবং বিশেষ করে ফুসফুসে সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান বলেন, ১০২ ডেসিবল মাত্রার শব্দদূষণে ১০ মিনিট কোনো শিশু থাকলে সে স্থায়ীভাবে বধির হয়ে যেতে পারে। পাখির যোগাযোগের মাধ্যম শব্দ। অতিরিক্ত শব্দের কারণে পাখি চলাচলের রাস্তা ভুলে যায়। দেয়ালের সঙ্গে আঘাত খেয়ে অনেক পাখি মারা যায়। প্রাণপ্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়। পাখিরা না থাকলে ফুল এবং ফল পরাগায়ন হবে না। এতে উৎপাদন কমে যাবে। ফানুসের পোড়া বস্তু নিচে পড়লে উদ্ভিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আরও পড়ুনঃ  ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫৪৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভাইরনমেন্ট ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম আনন্দবাজারকে বলেন, সব দেশেই আনন্দ-উৎসবের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে দিয়ে থাকে। আমাদের দেশের মতো প্রত্যেকের ঘরের ছাদে পটকা, আতশবাজি ফুটানো বা ফানুস উড়ানো হয় না। এসব কারণে তো অনেক বিপদ হতে পারে। যেমন ফানুসের আগুনে ছনের, টিনের বা অন্যান্য ঘরেও আগুন লাগতে পারে। স্বাধীনতার অর্থ এই নয় যে আমি যেখানে যা খুশি তা করবো। এসব ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভাইরনমেন্ট সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকী আনন্দবাজারকে বলেন, দেশে আইন আছে পটকা বা আতসবাজি ফোটানো যাবে না। তবে সেই আইন মানা হয় না। এক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যক্তিকেই সচেতন হতে হবে।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন