সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেশের বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ে বসছে সাপ্তাহিক হাট। কোনও রকম সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়াই হাটে আনাগোনা করছে মানুষ। এতে করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।
প্রতি শনিবারের মতই নিয়ম করে বরগুনার বিভিন্ন জায়গায় জমে বসে সাপ্তাহিক হাট। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়াই হাটে আসে হাজার হাজার মানুষ। করোনার ঝুঁকি এড়াতে হাট বন্ধ রাখার দাবি করছে অনেকেই।
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, বাজারে না আসতে সবাইকে মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ক্রেতারা যাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে তাদের বাজার করে থাকে, এ বিষয়েও আমরা তাদে বলে আসছি । এছাড়া অপ্রয়োজনীয় কাজে যাতে কেউ বাজারে ঘুরাঘুরি না করে এতেও সতর্ক করা হয়েছে।
জমজমাট হাট বসে ফরিদপুরের বিভিন্ন জায়গায়। করোনা আতংকে নাটোর অনেকটায় ফাঁকা হলেও, সরকারি নির্দেশনা না মেনে বসছে হাট। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে ভিড় করছেন অনেকেই।
করোনা সতর্কতায় এসব এলাকায় নিয়মিত প্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব আল রাব্বি। তিনি বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বাদে অন্য যেসব দোকান পাট খোলা আছে, সেগুলো আমরা বন্ধ করে দিয়েছি । সামনের দিনে আর যাতে এভাবে হাট না বসে সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া করোনা আতংকের মধ্যেই সাপ্তাহিক হাট বসছে মুন্সিগঞ্জে। চাঁপাইনবাবগঞ্জেও বসছে সাপ্তাহিক হাট। মানুষের মধ্যে সচেতনতা না থাকায় বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি।
জীবিকার তাগিদে নিরুপায় হয়েই হাটে আসার কথা জানান ব্যবসায়ীরা। হাট নিত্যপণ্যের চাহিদা মেটায়, হাটেই অনেকের জীবিকা। তাই হাট বন্ধ না করার দাবি বিক্রেতাদের।
আনন্দবাজার/শহক
