এবার দেশে কোরবানির পশুর চাহিদা ১ কোটি ১০ লাখ। যার বিপরীতে গবাদিপশুর উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ। অর্থাৎ সরকারি হিসেবে চাহিদার তুলনায় দেশে গবাদিপশুর সংখ্যা ৯ লাখ বেশি। যে কারণে তৈরি হয়েছে বিশাল পরিমাণে গবাদিপশু অবিক্রিত থেকে যাওয়ার সংশয়।
দেশের প্রধান হাটের ঠিকাদারদের মতে, গত বছরও হাটে তোলা গবাদিপশুর ১০ শতাংশ বিক্রি হয়নি। প্রায় ১০ লাখ গরু-ছাগল বিক্রি করতে না পেরে লোকসানের মুখে পড়েন খামারিরা। তবে হাটের শুরুতে যাঁরা বিক্রি করতে পেরেছিলেন, তাঁরা লাভের মুখ দেখেছিলেন।
দেশের গরু-ছাগলের খামারিদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফারমারস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, সরকার এবার কোরবানির হাটের যে চাহিদা নিরূপণ করেছে, তা থেকেও ২০ শতাংশ গবাদিপশু কম বিক্রি হবে। কারণ, ক্রেতাদের হাতে টাকা নেই। খামার থেকে হাটে গরু নিয়ে আসার মতো পুঁজি নেই। এবার ট্রাকভাড়াও বেশি।
এ বিষয়ে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, করোনার কারণে মানুষের আর্থিক সামর্থ্য কমে এসেছে। ফলে অন্যান্য খাতের মতো গবাদিপশুর খামারিদের সংকটের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তবে আমরা খামারিদের অর্থসহায়তার ব্যাপারে কাজ শুরু করেছি। আশা করি এই সংকট কেটে যাবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মনে করেন, করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে যে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে, তাতে সাধারণ মানুষের কাছে নগদ অর্থের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে এবার গরুর হাটে বিক্রি কম হতে পারে। করোনার কারণে সীমান্ত বন্ধ থাকাসহ নানা কারণে এবারও ভারতীয় গরু বাংলাদেশে আসবে না। আমরা চেষ্টা করেছি ভারতীয় গরু ছাড়াই যাতে পশুর চাহিদা পূরণ করা যায়। এতে আমরা সফল হয়েছি।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস