শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে নার্সদের জন্য বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করতে চায় কানাডা

বাংলাদেশে নার্সদের জন্য বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করতে চায় কানাডা

বাংলাদেশের নার্সিং সেক্টরকে বিশ্বমানের করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দফতরে মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাই কমিশনার লিলি নিকলাস।

এসময় কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ও উচ্চতর মানের নার্স টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করাসহ স্বাস্থ্য খাত সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে কানাডা হাইকমিশনার লিলি নিকোলাস বলেন, কানাডায় বেশি বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, তাদের ভালো চিকিৎসার জন্য দক্ষ নার্স, চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট দরকার। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নিতে আগ্রহী কানাডা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক দক্ষ নার্স, চিকিৎসক রয়েছে বলে কানাডার হাইকমিশনারকে আশ্বস্ত করেন।

তিনি কানাডার হাইকমিশনারের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ৯৫ হাজার শিক্ষিত নার্স আছে যারা বিশ্বের যেকোনও দেশের স্বাস্থ্যসেবায় ভূমিকা রাখতে পারবে। তবে, তাদেরকে আরও বেশি দক্ষ ও বিশ্বমানের করতে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করতে হবে। এজন্য দক্ষ প্রশিক্ষকও দরকার হবে আমাদের। এক্ষেত্রে কানাডা সরকার বাংলাদেশে যে উন্নতমানের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও নার্সিং পেশাকে যুগোপযোগী করতে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, বাংলাদেশের উদ্যোগের পাশাপাশি কানাডা সরকারের সহায়তা পেলে বাংলাদেশের নার্সিং সেক্টরকে আন্তর্জাতিক মানের করা হবে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বাজেট মাত্র ১% এবং কানাডার স্বাস্থ্য খাতে বাজেট ১২%। বাংলাদেশ এত কম বাজেটে এত বিরাট সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে পারবে কি না এবং ভবিষ্যতে কানাডা সরকারের কোনও ধরনের সহায়তা লাগবে কি না সে ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে কানাডার হাইকমিশনার জানতে চাইলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে আরও কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়ে আরেকবার বৈঠকে বসবার আমন্ত্রণ জানান।

আরও পড়ুনঃ  ধ্বংসের মুখে জীববৈচিত্র্য

কানাডার হাইকমিশনার ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী উভয়েই পরবর্তীতে আরও একবার সাক্ষাতের ব্যাপারে একমত পোষণ করেন। আলোচনাকালে, কানাডা হাইকমিশনের হেড অব কোঅপারেশন অ্যান্ড কাউন্সিলর জো গুডিংস এবং ভারপ্রাপ্ত রাজনৈতিক কাউন্সিলর মিস সইবান কার উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন