বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে ও বজ্রপাতে ২জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে কালবৈশাখি ঝড় শুরু হয়। এতে অর্ধশতাধিক বসতঘর ও দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে।
এদিকে রোববার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে উপজেলার চরলতার পোলতাতলী নামক এলাকায় গজারীয়া নদীতে বজ্রপাতে দুই জেলের মৃত্যু হয়। নিহতরা সম্পর্কে শশুর-জামাতা। শশুর হলেন চরএককরিয়া ইউনিয়নের চরলতার বাসিন্দা শহীদ বিশ্বাস ও জামাতা হলেন সদর ইউনিয়নের বাজিৎখা গ্রামের রাসেল ফকির। লাশ উদ্ধার করে সোমবার সন্ধ্যার পর দাফন করা হয়। নিহতের পরিবারে শোকের মাতম।

শনিবারের কালবৈশাখী ঝড়ের ব্যাপ্তিকাল ছিল প্রায় ৩-৫ মিনিট। কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে ৩টি গ্রাম তচনচ হয়ে গেছে। উড়ে গেছে প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরের টিনের চালা এবং সম্পুর্ন বিধ্বস্ত হয়েছে ১০-১৫ টি ঘর, ফার্মেসি ও চায়ের দোকান । উপড়ে গেছে অনেক গাছ। গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। এতে অনেক স্থানে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঝড়ে আমসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
গত ৭২ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও প্রশাসনের কেউ ঘটনাস্থলে যাননি বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।
স্থানীয় মেম্বার বেলাল মাহামুদ এবং চেয়ারম্যান আব্দুল মকিম তালুকদার বলেন, ঝড়ের তান্ডব এবং বজ্রপাতে আমাদের চরএককরিয়া ইউনিয়নে ২জন নিহত হয় এবং বেশ কয়েকটি ঘর, দোকানপাট ও মসজিদ বিধ্বস্ত হয়েছে।
এই বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুন্নবী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার খোঁজখবর নিয়েছি এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানদের বলেছি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে দেওয়ার জন্য। পৌরসভার চরহোগলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মোতালেব জাহাঙ্গীর ঝড় কবলিত এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের শান্তনা দেন।