তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকের ভূমিকা অগ্রগণ্য। সাংবাদিকরাই পারে সমাজের চিত্র পরিবর্তন করতে। তবে আমাদের সমাজ বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি ঐতিহ্য ছাড়া সম্ভব নয়।
আজ বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পিআইবি’র সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের দুই দিনব্যাপী (৭-৮ ফেব্রুয়ারি) অনুসন্ধানমূলক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণ শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, একটি অনগ্রসর সমাজকে উন্নয়নের ধারায় ধাবিত করতে সাংবাদিকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে স্মার্ট নাগরিক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য নাগরিকদের স্মার্ট হতে হবে। নতুবা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে। কারন তথ্য প্রযুক্তিসহ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারলেই কেবল স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট নাগরিকের সুবিধা পাওয়া যাবে। নতুবা সমসাময়িকদের থেকে সবদিক দিয়ে পিছিয়ে থাকতে হবে।
তথ্য সচিব আরো বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দূত হিসেবে কাজ করে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে সমাজের অনাচার প্রকাশ পাবে।
অনুষ্ঠানের সভাপ্রধান পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন তৈরিতে একজন সাংবাদিককে জ্ঞানের পরিধি, সাহস ও ধৈর্য থাকা অপরিহার্য। নইলে অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন তৈরি অসম্ভব হয়।
তিনি আরো বলেন, অনুসন্ধান প্রতিবেদন তৈরির জন্য সময়কে গুরুত্ব দিতে হয়। কারন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন এক ধরণের গবেষণা প্রতিবেদন।
জাফর ওয়াজেদ বলেন, পুরাতন তথ্য উদাঘাটন করে সত্য বিষয়টা প্রকাশে রীতিমত গবেষণা করার প্রয়োজন হয়। নতুবা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
পিআইবি’র কনিষ্ঠ প্রশিক্ষক মো. শাহ আলমের সমন্বয়ে প্রশিক্ষণে মোট ২৮ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।