শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভরসার হাসপাতালে দুঃস্বপ্ন

ভরসার হাসপাতালে দুঃস্বপ্ন

দেশের উত্তর জনপদের ১৬টি নদ-নদী বেষ্টিত আর চার শতাধিক চর সম্বলিত নদীভাঙনপ্রবণ দারিদ্র্যপীড়িত কুড়িগ্রাম জেলার প্রায় পঁচিশ লাখ মানুষের উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির একমাত্র ভরসাস্থল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল। তবে জনবল সংকটে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবা যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলার লাখ লাখ মানুষ। রোগীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ জনবল সংকটে অনেকটাই ভেঙে পড়েছে সেবা কার্যক্রম। ১০০ শয্যার জনবলের ৭০ শতাংশ দিয়েই চলছে ২৫০ শয্যার কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল।

হাসপাতালের প্রশাসনিক শাখার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ৫০ শয্যার কুড়িগ্রাম হাসপাতাল ১৯৯৯ সালে ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার পর হাসপাতালটি ২০১৬ সালে ২৫০ শয্যার অনুমোদন পায়। প্রায় ৫/৬ বছর যাবৎ ২৫০ শয্যার মেডিসিন ও ডাইটসহ অন্যান্য সুবিধা পেলেও শুরু থেকেই জনবল সংকটে রয়েছে হাসপাতালটি। ফলে জেলার প্রায় ২৫ লাখ মানুষ কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন।

ডেলিভারির সংখ্যা সন্তোষজনক: কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে গর্ভবতী মায়েদের সন্তান ডেলিভারি করানোর হার কিছুটা সন্তোষজনক বলে মনে করছেন রোগীরা। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে এখানে মোট ডেলিভারি হয়েছে ১১১২টি। তার মধ্যে নরমাল ডেলিভারি করানো হয়েছে ৮৫১টি এবং সিজারিয়ান ডেলিভারি ২৬১টি।

শক্তিশালী সিন্ডিকেট ও টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ: দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে হাসপাতালের যে কোনো টেন্ডার পছন্দের ঠিকাদারকে পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ অনেক পুরোনো। চলতি অর্থবছরেও পছন্দের ঠিকাদারকে ‘কাজ দিতে’ অভিনব ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ শর্ত দিয়ে এমএসআর (মেডিসিন ও মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ক্রয়) দরপত্র আহ্বানের অভিযোগ উঠেছে তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে। প্রভাবশালী সেই সিন্ডিকেট চক্রের যোগসাজসে বিশেষ কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে দরপত্রে অভিনব ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বঞ্চিত ঠিকাদাররা।

দরপত্রে দেওয়া শর্তের বিষয়ে আপত্তি তুলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স স্বর্ণা এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ত্বাধিকারী মো. সাহাদৎ হোসেন খন্দকারের লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দরপত্রে সংযুক্ত শর্তের ১৯ (ছ) অংশে বলা হয়েছে, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ থেকে দরপত্র দাখিলের দিন পর্যন্ত ঠিকাদারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা স্থিতি থাকতে হবে। একই ধারার (জ) উপধারায় বলা হয়েছে, হাসপাতালে এমএসআর সামগ্রী সরবরাহে গ্রুপভিত্তিক কাজে বিগত ৫ বছরের মধ্যে কমপক্ষে চার বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  কৃষকের থেকে রেকর্ড পরিমাণ ধান কিনল সরকার

বিজ্ঞপ্তিতে ৬টি গ্রুপে ভিন্ন ভিন্ন দরপত্র বিক্রয় ও জামানত চাওয়া হলেও সকল গ্রুপের জন্য একই পরিমাণ ব্যাংক স্থিতি (৫ কোটি টাকা) চাওয়া হয়েছে যা বিধিসম্মত নয়। কারণ সব পণ্যের চাহিদার পরিমাণ এক নয় এবং একজন ঠিকাদার সব গ্রুপের দরপত্র নাও কিনতে পারেন। এছাড়া কয়েকটি গ্রুপে এতো টাকার পণ্য কখনই কেনা হয় না।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ: গত ২২ নভেম্বর দুপুরে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে সচেতন যুব সমাজের ব্যানারে চলতি অর্থবছরের জন্য আহ্বান করা এমএসআর দরপত্রে অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ পালিত হয়েছে। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বিধিবহির্ভুত শর্ত জুড়ে দিয়ে এমএসআর টেন্ডার আহ্বান করেছেন। সিন্ডিকেটভুক্ত বিশেষ ঠিকাদারকে বারবার কাজ দিতেই এমন শর্ত দিয়েছেন যাতে অন্য ঠিকাদাররা কাজ না পান। উৎকোচের বিনিময়ে কুড়িগ্রামের জনগণের স্বার্থ বিক্রি করে দিয়েছেন। বক্তারা অবিলম্বে সেই টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে পুণঃদরপত্র আহ্ববানের দাবি তোলেন তখন।

তবে বিক্ষোভকারীদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ লিংকন। তিনি বলেন, তাদের (বিক্ষোভকারীদের) এমন দাবি ঠিক নয়। আমি বিধি অনুযায়ী টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি।

হাসপাতাল থেকে ঔষধ চুরি ও পাচার: অনুসন্ধানে জানা যায়, হাসপাতালের ঔষধের স্টোর কিপার, ইনচার্জ, সিনিয়র নার্স, মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টসহ প্রশিক্ষণার্থী নার্সরা সরকারি ঔষধ চুরি ও পাচারের সাথে জড়িত। পাচারকৃত সরকারি ওষুধের মধ্যে রয়েছে এভাস, কিলম্যাক্স, ক্যালসিয়াম-ডি, মুভেক্স, সিপ্রো, বিসরল, ট্রাইলক, ভিটামিনসহ দামি ওষুধ। সরকারি এসব ওষুধ কম দামে কিনে বাজারমূল্যে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা।

সরকারি ওষুধ হাসপাতালে না জুটলেও মফস্বলের ফার্মেসিগুলোতে ঠিকই পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল থেকে ব্যাগভর্তি পেলটকস-২ এবং পেনটিড মেগাপিলের প্রায় ৪ শতাধিক ইনজেকশন পাচারের সময় রাশেদা বেগম নামে এক নারীকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে হাসপাতালের সিনিয়র নার্স শাহানাজ সিদ্দিকাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। ঔষুধ চুরির ঘটনায় থানায় মামলাও করা হয়। পুলিশ চার্জশিটও জমা দিয়েছে আদালতে।

চলতি বছর ৬০ লাখ টাকা মূল্যের সরকারি প্রায় এক লাখ জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার মাদারগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নদী পথে ভারতে পাচারের সময় বিজিবি জব্দ করে। আটকের সময় পাচারকারীরা নদী সাঁতরিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানায়, প্রশিক্ষণার্থী নার্স ও মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টদের কাছে ওষুধের অসংখ্য টোকেন লেখা থাকে। প্রতিদিন এসব টোকেন দিয়ে ওষুধ তোলা হয়। সিনিয়র নার্সরা ডিউটি শেষে প্রতিদিন ওষুধ নিয়ে যান। পরে সেগুলো হাসপাতালের মাস্টাররোলের কর্মচারী এবং বহিরাগত পাচারকারীদের মাধ্যমে বাইরে বিক্রি করা হয়। গত অক্টোবরে অফিস সহায়ক রেজাউল করিম রেজা ঔষধ পাচারের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন। এর আগেও তিনি বেশ কয়েকবার সরকারি ঔষধসহ ধরা পড়লেও কোনো শাস্তি হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, উৎকোচের বিনিময়ে তিনি নিজেকে রক্ষা করেন। এবার তাকে আইনের আওতায় না দিয়ে ওষুধ বিতরণকক্ষ থেকে সরিয়ে জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  করোনাতেও জিডিপি গ্রোথে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয়- তথ্যমন্ত্রী

রিপোর্ট আনি দেখং ডাক্তার নাই: বুকে ব্যথা অনুভব হওয়ায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন খলিলগঞ্জ এলাকার বকশি পাড়ার দিনমজুর রোস্তম আলী। তিনি দৈনিক আনন্দবাজারকে বলেন, টিকিট কাটি দেড়/দুই ঘণ্টা সিরিয়ালত দাঁড়ে থাকি ডাক্তার দেখানুং। ডাক্তার টেস্ট নেকি (লেখি) দিচে (দিয়েছে)। ইসিজি হাসপাতালোত করিয়া এক্সরে, ইকো আর অন্য টেস্টগুলা অন্যটে করিয়া টেস্ট রিপোর্ট নিয়া আসি দেখং ডাক্তার নাই। সময় শ্যাষ। ডাক্তার চলি গেইছে। এখন রিপোর্ট দেখাইতে ডাক্তারের ব্যক্তিগত চেম্বারত যায়া ৬শ টাকা ফি দিয়া রিপোর্ট দ্যাখে হাসপাতালত ভর্তি হইচং। ভর্তি হওয়ার পর নার্স স্লিপ নেকি দিলে বাইরা থাকি ওষুধ কিনবার। ২/১টা ওষুধ হাসপাতাল থাকি দেয় আর বাকি সউগ ওষুধ বাইরা থাকি কেনা নাগে। এলা তোমরায় কনতো বাহে, হামার মতোন গরীব মানুষগুলা কেমন করি সরকারি চিকিৎসাসেবা পামো?

কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের পাটেশ্বরী এলাকার ফজিলাতুন নেছা পেটের ব্যথা নিয়ে ৬নং ওয়ার্ডের (মহিলা সার্জারি) ২নং বেডে ১৯ দিন যাবৎ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, হামরা গরীব মানুষ। বিনা পয়সায় চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হছি। কিন্তু এটে ভর্তি হয়া দেখি ২/১ একটা ওষুধ ছাড়া বাকি সউগ ওষুধ বাইরা থাকি কেনা লাগে। দিন-রাত মিলি ডাক্তার আইসে শুধু সকালে একবার। শুক্রবারসহ বন্ধের দিন ডাক্তার আসে না। এমনকি ঝাড়ুদারও আসে না। বন্ধের দিনে ওয়ার্ডে ঝাড়ুও দেয়া হয় না, মেঝেও পরিষ্কার করে না। এজন্য নোংরা আর দুর্গন্ধ বেড়ে যায়।

এ তো হলো জেলা সদরের রোগীর চিত্র। দুর্গম চরগুলোর অনেক রোগীকে তো জরুরি সেবার জন্য হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয় না। অনেক ক্ষেত্রে বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। নামমাত্র ওষুধ পাওয়া যায়, অধিকাংশ ওষুধ কিনতে হয় বাইরে থেকে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট পেতে দেরি হয়ে গেলে চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারে গিয়ে ভিজিট দিয়ে রিপোর্ট দেখাতে হয় নতুবা পরের দিন দেখাতে হয়। ভর্তি রোগীর দুর্ভোগ বাড়ে শুক্রবারসহ সরকারি ছুটির দিনে।

আরও পড়ুনঃ  আত্রাইয়ে ব্র্যাকের আইন সহায়তা বিষয়ক কর্মশালা

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন সকাল-রাতে চিকিৎসকদের রোগী দেখার নিয়ম থাকলেও সরকারি ছুটির দিনগুলোতে চিকিৎসকের দেখা মেলে না। বন্ধের দিনে হাসপাতালে রোগী দেখতে কোনো ডাক্তার আসেন না। এমনকি পরিচ্ছন্নতা কর্মীও আসে না। নার্স এবং মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্টরাই চিকিৎসা দেন। শুক্রবারসহ ছুটির দিনে বন্ধ থাকে বহির্বিভাগ ও প্যাথলজি, চিকিৎসকের দেখা মেলে না। শুক্রবারসহ ছুটির দিনে বন্ধ থাকে বহির্বিভাগ ও প্যাথলজি। এতে ভোগান্তি আরও বাড়ে ভর্তি রোগীদের। প্রতিদিন সকাল-রাতে চিকিৎসকদের রোগী দেখার নিয়ম থাকলেও কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে শুক্রবারসহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে চিকিৎসকের দেখা মেলে না। ফলে বন্ধের দিনগুলোতে নার্স এবং মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্টরাই চিকিৎসা দেন।

একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজন ও বিশিষ্ট আইনজীবী আব্রাহাম লিংকন দৈনিক আনন্দবাজারকে বলেন, রোগ দিনক্ষণ বুঝে হয় না। প্রতিদিনই নানা জটিল রোগী হাসপাতালে আসেন। তাই ২৪ ঘণ্টা রোগীর সেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ জরুরি। ছুটির দিনে ভালো চিকিৎসাভাবে কোনো রোগী মারা গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায় চিকিৎসকদের ওপরেই বর্তাবে।

ব্যবহার হচ্ছে না আইসিইউ সুবিধা সম্বলিত অ্যাম্বুলেন্স: কুড়িগ্রামে রোগী বহন কাজে ব্যবহার হচ্ছে না ভারত সরকারের দেওয়া আইসিইউ সুবিধার অ্যাম্বুলেন্সটি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আইসিইউ সুবিধার ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১টি অ্যাম্বুলেন্স ওই বছরের ২৯ অক্টোবর কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালের নতুন ভবনের সামনে দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের কয়েকজন স্টাফ জানান, হাসপাতালে গ্যারেজ না থাকায় পুরোনো দুটি অ্যাম্বুলেন্স পুরাতন ভবন ও নতুন ভবনের শেডের নিচে রাখা হলেও ভারতের দেওয়া উপহারের অ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন যাবৎ খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকায় কুকুর সম্ভবত নিচের দিকে থাকা বেশকিছু তার বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। ফলে সেটি কোনো কাজে লাগছে না। এটা প্রশাসনিক উদাসীনতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. শাহিনুর রহমান সরদার বলেন, আমি সদ্য হাসপাতালে যুক্ত হয়েছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খতিয়ে দেখে অচিরেই আমরা এটি রোগী পরিবহনের জন্য চালু করবো।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন