শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেরিন ড্রাইভে সাম্পানের আদলে ব্রিজ

মেরিন ড্রাইভে সাম্পানের আদলে ব্রিজ

কক্সবাজারের  মেরিন ড্রাইভের রেজুখালে সাম্পানের আদলে  নতুন ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ব্রিজে প্রায় সময়ই যানজট লেগে থাকে। পুরোনো  ব্রিজটির প্রশস্তা স্বল্প, তবে গাড়ি চলাচল হয় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি। তাই প্রায় সময় ওই স্থানে পর্যটকসহ স্থানীয়দের জ্যামে কাটাতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এ সংকট দুর করতে নেয়া হয়েছে নব  উদ্যোগ।

এমআইএসটির উদ্যোগে রেজুখালের উপর নির্মিত হচ্ছে নতুন ব্রিজ। প্রস্তাবিত ব্রিজের নকশা তৈরি করা হয়েছে কক্সবাজারের ঐতিহ্য বহনকারী সাম্পানের আদলে। যার নকশা ইতোমধ্যে অনুমোদিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এমআইএসটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৩৬ ফিট প্রস্থের ব্রিজটির দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১০৩০ ফিট এবং সেতুটি হবে দুই লেনের, তাই যানজট মুক্ত হবে মেরিন ড্রাইভের এ অংশটি। দর্শনার্থীদের ব্রিজ ও আশে পাশের সৌন্দর্য উপভোগে থাকবে প্রশস্ত ফুটপাত এবং পার্কিং সুবিধা। রাতের আলোয় ঝলমলে পরিবেশে রেজু খালের সৌন্দর্য উপভোগ করার ব্যবস্থাও রয়েছে সেখানে। সুইচ্চ সেতুটির ডিজাইন করা হয়েছে পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং নান্দনিক ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, সেতুটির সম্ভাব্য বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছে ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ সাল পর্যন্ত।

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান আবু মোরশেদ চৌধুরী জানান, মেরিনড্রাইভ সড়ক হয়ে টেকনাফ যেতে ও সৈকত রানী কক্সবাজারে আসতে একটি ব্রিজের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হতো পর্যটক ও স্থানীয়দের। সরকারের  ইচ্ছায় বিপুল অর্থ ব্যয়ে রেজুখালে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। ব্রিজের নকশাও অনুমোদন হয়েছে। শীঘ্রই শুরু হবে  রেজুখালের ওপর নৌকার আদলে নতুন ব্রিজ নির্মাণ কাজ। কাজ শেষ হলে মেরিনড্রাইভ সড়ক ভ্রমণে আরও আকর্ষণ বাড়বে পর্যটকদের।

আরও পড়ুনঃ  চার দিনের সফরে ঢাকায় ভারতের সেনা প্রধান

জানা গেছে, কক্সবাজারে সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে বহু মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে  আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর স্থাপন, পরিবেশ বান্ধব ট্যুরিজম স্পট, আশ্রয়ণ প্রকল্প, গভীর সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ীতে তাপভিত্তিক কয়লা  বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, দোহাজারী থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক স্থাপন, টেকনাফে ইকোট্যুরিজম, প্রথমবারের মতো সমুদ্রের ওপর নির্মিত রানওয়ে, খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প ও শেখ হাসিনা টাওয়ার ইত্যাদি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন