শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশে যানজট কমছে না

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের

গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবারও যানজটের ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুণ বেশি সময় লাগছে সড়ক অতিক্রম করতে। মহাসড়কের টঙ্গী-গাজীপুর অংশে যানজট এখন নিয়মিত ঘটনায় রূপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করছেন যাত্রী, পরিবহন মালিক, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই।

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দু’দিনের বর্ষণে সড়কের টঙ্গী-গাজীপুর অংশের খনাখন্দগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে চার লেনের সড়কটিতে দুই লেনে যানবাহন চলাচল করায় যাত্রী দুর্ভোগ বেড়েছে। বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কের খনাখন্দ শুষ্ক মৌসুমেও ধুলোবালিতে একাকার থাকে। এসব কারণে মহাসড়কের ওই অংশটিতে যাত্রী দুর্ভোগ নিয়মে পরিণত হয়েছে।

যাত্রী ও পরিবহন চালকদের ভাষ্যমতে, ভারি যান চলাচল করায় বিআরটি কর্তৃপক্ষ খানাখন্দ মেরামতে ইট-সুড়কি ব্যবহার করেছে। তবে, তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না। সামান্য বৃষ্টিতে খনাখন্ধগুলো গর্তে রূপ নিয়েছে। স্টেশনরোড থেকে গাজীপুরের বড়বাড়ি পর্যন্ত  সড়কের দু’পাশেই ৬ কিলোমিটার এলাকায় যানজট তৈরী হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বনানী থেকে ভোর ৫টায় গাজীপুরের মাওনার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন পোশাক কারখানার রক্ষণাবেক্ষন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, মাওনা পৌঁছাতে তাঁর সময় লেগেছে পাঁচ ঘণ্টা। দীর্ঘসময় সড়কে আটকে থাকায় অনেকটা পথ পায়ে হেঁটে পার হয়েছেন। সড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ এবং টঙ্গী এলাকায় সড়কের খনাখন্দের কারণে গত চারদিন যাবত এমনটি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান উদ্দিন বলেন, আমাদের পরিবহনগুলো দৈনিক ঢাকায় ছয়বার যাতায়াত করতো, আর যানজটের কারণে এখন এক বা দুইবার যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে মালিক, শ্রমিকদের আয়-উপার্জন কমে গেছে, তারা খুব কষ্টের মধ্যে দিন পার করছে। গাজীপুরের যানজট দিনদিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।

আরও পড়ুনঃ  রেলে প্রথম জরুরি রোগীসেবা

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) টঙ্গী অঞ্চলের ট্রাফিকের পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সড়কের কোনো কোনো জায়গায় ঢাকামুখী লেনের মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া গতকাল বুধবার সড়ক ভবনে সওজের প্রধান প্রকৌশলীর সভাপতিত্বে হাইপ্রোফাইলদের সঙ্গে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে শুক্র ও শনিবারের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়কের এ অংশটি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্পূর্ণভাবে যানবাহন চলাচল উপযোগী স্থায়ী রাস্তা করে দেবে বিআরটি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত ছুটির পর যানজটের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা হচ্ছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন বলেন, ঢাকাগামী গাড়িগুলো দুই-তিন লেনে এসে টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় এক লেনে ঢাকায় প্রবেশ করছে। যানজট নিরসনে গত রাতে ওই অংশে ময়মনসিংহমুখী মহাসড়কে এক লেনের মেরামত কাজ হয়েছে। আমরা বিআরটিকে সার্বিক সহযোগিতা করছি। এ অংশে কোনো গাড়ি ফেঁসে গেলে আমাদের স্ট্যান্ডবাই দুইটি রেকার রয়েছে তা দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তা উদ্ধার করে সচল রাখার চেষ্টা করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন