শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দেশে আনা ৩৭ কোটি মূল্যমানের প্রায় ৩৭ হাজার বোতল বিদেশি মদ ধ্বংস করেছে র্যাব।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, এটি র্যাবের ইতিহাসে আটক করা সর্ববৃহৎ মদের চালান, যা চট্টগাম বন্দর হয়ে ঢাকার বিভিন্ন হোটেল ও ক্লাবের উদ্দেশ্যে নেওয়া হচ্ছিল।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে র্যাব-১১ এর আদমজীনগর কার্যালয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, র্যাব-১১ এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা, জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারহানা ফেরদৌসের উপস্থিতিতে রোড রোলারের সহায়তায় ৩৬ হাজার ৮১৬ বোতল জব্দকৃত মদ ধ্বংস করা হয়।
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা এসব মদের ক্রেতা ঢাকার কিছু হোটেল, বার ও ক্লাব। গার্মেন্টস পণ্যের মিথ্যা ঘোষণায় এই মদ আমদানির পেছনে রয়েছে মুন্সীগঞ্জকেন্দ্রিক একটি চক্র, যাদের নেটওয়ার্ক দুবাই পর্যন্ত বিস্তৃত।
চলতি বছরেই তারা আরও তিনটি চালানে মিথ্যা ঘোষণায় প্রায় ৪৮ হাজার বোতল বিদেশি মদ এনেছে। ধ্বংসকৃত মদের সরকার নির্ধারিত মূল্য ৩১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ভ্যাটসহ এর দাম পড়ে ৩৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। র্যাবের ইতিহাসে ওই বিদেশি মদের চালান উদ্ধারের বৃহত্তম ঘটনা।
গত ২৩ জুলাই বিদেশ থেকে আমদানি করা ৩৭ হাজার বোতল বিদেশি মদ চট্টগ্রাম নৌবন্দর হয়ে অবৈধভাবে আসা দুটি কন্টেইনারে রাজধানী ঢাকায় প্রবেশের চেষ্টা করে। পথে সোনারগাঁ টোল প্লাজায় র্যাব-১১ এর একটি দল অবৈধভাবে আনা দুই কন্টেইনার মদ আটক করে। ওই ঘটনায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম ও তার দুই ছেলেসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁ থানায় মামলা হয়। মামলার তিন আসামি গ্রেপ্তার হলে পরবর্তীতে একজন জামিনে বের হন বলে জানান র্যাব-১১ এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা।
আনন্দবাজার/কআ