ঢাকা | মঙ্গলবার
২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে গণমাধ্যম যা ইচ্ছা বলার স্বাধীনতা পেয়েছে

বাংলাদেশে গণমাধ্যম যা ইচ্ছা বলার স্বাধীনতা পেয়েছে

ভয়েস অব আমেরিকাকে প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের গণমাধ্যম সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের আমলে বাংলাদেশের বিকাশমান গণমাধ্যম যা ইচ্ছা, তা বলার (প্রকাশ) স্বাধীনতা পেয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর এ সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে।

সরকারপ্রধান সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, মানুষ এখন এসব টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিচ্ছে এবং স্বাধীনভাবে কথা বলছে। সত্য-মিথ্যা যাই হোক, তারা সরকারের সমালোচনা করতেও পারছে। এসময় প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, সামরিক শাসনামলে দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা সভা-সমাবেশ করার সুযোগও ছিল না।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর প্রভাব প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবকিছু বলার পরও কেউ যদি বলেন যে, তিনি কথা বলতে পারছেন না বা তাকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না, তাহলে কী বলার থাকে? আমি এটা আসলে জানতে চাই।

১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার আগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় আসার পর স্বাধীনভাবে গণমাধ্যম চালুর জন্য বেসরকারিখাতকেও উন্মুক্ত করে দেই। এখন দেশে অনুমোদিত ৪৪টি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের মধ্যে ৩২টি সম্প্রচারে আছে।

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার থেকে আর একটা লোককেও নেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। যে রোহিঙ্গারা আছে, তাদের অবশ্যই স্বদেশে প্রত্যাবাসন করতে হবে। এসময় করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও তার প্রভাবে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ব যে ভোগান্তিতে পড়েছে, তার কারণে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সংবাদটি শেয়ার করুন