নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই এই দুই উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষদের ভাগ্যে অবশেষে একটি সেতু মিলতে যাচ্ছে। ছোট যমুনা নদীর পূর্ব পাশে রাণীনগর উপজেলার ৩নং গোনা ইউনিয়ন পরিষদ আর পশ্চিম পাশে আত্রাই উপজেলার ৭নং কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদ। অবশেষে এ দুই ইউপির হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আটগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ভুবনার ঘাটে একটি সেতু। সেই স্বপ্নটি দ্রুতই বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।
আটগ্রামের বাসিন্দা ও আটগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ২০১৯ সালে একনেকে আত্রাই উপজেলার আটগ্রাম ভুবনা সেতু ও রাণীনগর উপজেলার বোদলা শহীদুল্লাহ সেতু নামে দুটি সেতু পাস করা হয়। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভুবনার ঘাটে আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ বার মাটি পরীক্ষার কাজ, নদীর এপার-ওপার লিংকরোড ও পানির মাপ কয়েক বার নিয়ে যায়। ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরর মধ্যে লিংকরোড, নদীর পানি ও মাটি পরীক্ষার কাজ দফায় দফায় করা হয়। সর্বশেষ চলতি মাসেও মাটি পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো কাজই শুরু না হওয়ায় নদীর দু‘পাড়ের হাজার হাজার মানুষ হতাশায় ভুগছেন। তাদের আশা প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার শহরের সুবিধা গ্রামে তারা দ্রুতই এ সেতু নির্মাণের মাধ্যমে পাবেন।
কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, ছোট যমুনা নদীতে সেতুটিনির্মাণ হলে রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হবে। সেই সঙ্গে দেশের যোগাযোগ মাধ্যম শক্তিশালী হয়ে বিল বেষ্টিত অঞ্চলগুলো ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নের মহাসড়কেযুক্ত হতে পারবে। আর এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক চাকা আরোও সচল হয়ে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আবার যেন কোনো কারণে সেতু নির্মানের কাজ বন্ধ না হয়ে যায় এবং দ্রুত যেন নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
সেতুর মাটি পরীক্ষা দলের সাইড ইঞ্জিনিয়ার ও ঢাকা এলজিইডি অফিসের মুখপাত্র ইমরান হোসেন বলেন, এ সেতুনির্মাণের ক্ষেত্রে এটিই আমাদের সর্বশেষ মাটি পরীক্ষার ধাপ। আনুমানিক এক সপ্তাহের মধ্যে মাটি পরীক্ষার কাজ শেষ হলে আগামী ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন, আমি এ দুটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার লক্ষ্যে সংসদ অধিবেশনে একাধিকবার বিষয়টি তুলে ধরেছি। আমি আশাবাদি খুব দ্রুতই এ দুটি জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। আর সেতু নির্মাণের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে।
আনন্দবাজার/এম.আর