পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কাঁচা সড়কে মহিষের খোয়াড় তৈরি করেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী। এতে গ্রামের শিশু, বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষ পথা চলায় দূর্ভোগে পড়েছেন। সামান্য বৃষ্টি হলেই মহিষের পায়ের সৃষ্ট গর্তে পানি জমে থাকে। তখন পায়ে হেঁটে চলাচল করাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা রাস্তাটি পাকা করার জন্য দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্না দিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
জানা যায়, উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের লেমুপাড়া গ্রামের পশ্চিমকান্দা রাস্তাটি সন্ধ্যা নামতেই এক প্রভাবশালীদের মহিষ গরুর আবসস্থল হয়ে উঠে। রাস্তা দখল করে মহিষ, গরু বেঁধে রাখা হয় রাস্তার উপর। লেমুপাড়া পশ্চিমকান্দা বড় স্লুইজ থেকে ঢোস হয়ে বাবলাতলা বাজার যেতে রাস্তাটি এমনেতেই বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টি হলেই গরু, মহিষের গোবর ও পায়ের সৃষ্টগর্তে পানি জমে কাদা মটিতে একাকার হয়ে যায়। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এ রাস্তা দিয়ে গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। এলাকার স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীর এ সড়কে চলাচল এখন বিপদ সঙ্কুল, মহিষ-গরুরর গুঁতোর ভয়ে। গর্ভবতী নারী ও অসুস্থ রোগীদের এই রাস্তা দিয়ে চলাচল ঝূঁকিপূর্ণ।
এ বিষয়ে মহিষের মালিক মিন্টু তালুকদার রাস্তার উপর মহিষ রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, বর্ষা মৌসুম তো প্রায় শেষ। মানুষ চলাচলে আর কোন সমস্যা হবেনা। শাহজাহান তালুকদার বলেন, গোয়াল ঘর না থাকায় ওয়াপদা রাস্তার উপর মহিষ বেঁধে রাখতাম। এখন আর রাখিনা।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম হমায়ুন কবির বলেন, পশ্চিমকান্দা এলাকার কয়েকটি পরিবার রাস্তার উপর মহিষ, গরু না রাখতে বারা বার নিষেধ করা সত্যেও কোন কর্নপাত করছে না। চৌকিদার পাঠিয়ে বিষষটি দেখছি। কলাপাড়া ইউএনও শংকর চন্দ্র বৈদ্য সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি শুনলাম। তদন্ত করে আইন অনুয়ায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।