শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একচেটিয়া ভাড়া বৃদ্ধি প্রত্যাখান

একচেটিয়া ভাড়া বৃদ্ধি প্রত্যাখান

একচেটিয়াভাবে বর্ধিত তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতি। যে অজুহাতে একচেটিয়াভাবে বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। গতকাল রবিবার বর্ধিত এ ভাড়া প্রত্যাহারের দাবী করেছে সংগঠনটি। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একচেটিয়াভাবে বর্ধিত তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে যখন যাত্রী কল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন মাঠে আন্দোলন করছে, ঠিক তখনই, জ্বালানীর মূল্য প্রত্যাহারের দাবী না তুলে বাস মালিকেরা সরকারের সাথে মিলেমিশে বাস ভাড়া বাড়াতে ব্যস্ত।

বাস ভাড়া বৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিক ক্রেতা-ভোক্তা আইন লংঘন করা হয়েছে জানিয়ে সংঠনের মহাসচিব বলেন, যাত্রী প্রতিনিধি ছাড়া বিআরটিএ ও পরিবহন মালিক সমিতি কর্তৃক বাস ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। ঘোষিত এ ভাড়া প্রত্যাহার করে সঠিক ব্যয় বিশ্লেষণ করে নতুনভাবে বাস ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে।

সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গেল নভেম্বরে জ্বালানী তেলের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করা হয়। তখন বাস ভাড়া ৩৫ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়। এর ৯ মাসের মাথায় আবারো জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। সাথে সাথে সঠিক ব্যয় বিশ্লেষণ ব্যাতিরেখে এক লাফে বাস ভাড়া আবারো ২২ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়। প্রতিটি পুরোনো লক্কড়-ঝক্কড় বাসকে শো-রুম থেকে নামানো নতুন বাসের দাম, ব্যাংক সুদ ও অন্যান্য নতুন বাসের সুযোগ-সুবিধার হিসাব ধরে ব্যয় বিশ্লেষণ করা হলেও সিটি সার্ভিসে ৯৮ শতাংশ বাস-মিনিবাস চলাচলের অযোগ্য। আন্তঃজেলা দুরপাল্লায় ৪৮ শতাংশ বাস ২০ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে। এসব বাস অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। পুরোনো এসব বাসের যাত্রী সেবার মান তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। গতকালের বাস ভাড়া বৃদ্ধির সভায় এসব বাসকে চকচকা নতুন বাস হিসেবে ব্যয় বিশ্লেষণ করায় যাত্রীস্বার্থ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নতুন বাস এবং পুরাতন বাস আলাদা আলাদা ব্যয় বিশ্লেষণ ও আলাদা আলাদা ভাড়া নির্ধারণের দাবী জানানো হয়।

আরও পড়ুনঃ  সক্রিয় স্বর্ণ চোরাকারবারীরা

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সরকার বাস মালিকদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করেছে। তবে কোনো বাসে সরকার নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর নেই। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার বেশ কয়েকগুণ বর্ধিত ভাড়া বাসে বাসে আদায় হচ্ছে। তবে সরকার কার্যত এসব বাসের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। সিটি সার্ভিসে সরকার কিলোমিটার প্রতি ভাড়া নির্ধারণ করলেও বাসে বাসে ওয়েবিলে যাত্রীর মাথা গুণে গুণে ভাড়া আদায় করা হয়। ঢাকা মহানগরীর কথিত সিটিং সার্ভিসে স্বল্প দুরুত্বে যাতায়াত করলেও সর্বশেষ গন্তব্য পর্যন্ত ভাড়া পরিশোধ করতে হয়। ঈদ ও পূজা-পার্বণে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যে দিশেহারা হয়ে পড়েন যাত্রী সাধারণ। এহেন পরিস্থিতি তুলে ধরে দেশের ১৬ কোটি যাত্রী সাধারণের দূর্ভোগের কথা বলতে চায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বাস ভাড়া নির্ধারণের সভায় প্রতিনিধিত্ব করতে চায়। এ জন্য বার বার আবেদন নিবেদন করলেও আমাদেরকে সুযোগ দেয়া হচ্ছে না।  সরকার বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে যাত্রী প্রতিনিধি ছাড়া বার বার বাস ভাড়া নির্ধারণ করে থাকেন। অনতিবিলম্বে বর্ধিত বাস ভাড়া প্রত্যাহার করে সঠিক ব্যয় বিশ্লেষণপূর্বক নতুন ভাড়া নির্ধারণের দাবী জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন