শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অগ্নিকাণ্ডে ৬ দোকান পুড়ে ক্ষতি অর্ধকোটি

অগ্নিকাণ্ডে ৬ দোকান পুড়ে ক্ষতি অর্ধকোটি

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের ভয়াং বাজারের ২টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া আরও ৪টি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। শনিবার (৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। ভয়াং গ্রামের মোঃ নসা হাওলাদারের হাওলাদার এন্টারপ্রাইজ নামক মোদি ও মনোহরির দোকান থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ব্যবসায়ীরা জানান, শনিবার রাতে হঠাৎ নসা হাওলাদারের দোকানে লাগা আগুনের লেলিহান শিখা মূহূর্তেই আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে মির্জাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এলাকাবাসীর সহায়তায় প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আগুন নিয়ন্ত্রণের আনার পূর্বেই নসা হাওলাদারের মোদি-মনোহরির দোকান ও বিমল চন্দ্র হালদারের ভ্যারাইটিজ স্টোর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয় এবং কবির মৃধার বৈশাখী সুইটস, ছগীর মৃধার হিজবুল্লাহ ষ্টোর, কবির মোল্লার সারের দোকান ও সুলতান খানের মুদি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এ ঘটনায় রোববার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী, ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা ক্ষতিগ্রস্তদের উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।

মির্জাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মো. ফারুক হোসেন হাওলাদার জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই বাজারের ২টি দোকান ও দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং চারটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে আনুমানিক ২১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং ৩৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের  সূত্রপাত ঘটেছে।

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  ওরা খাবার হোটেল থেকে বিতাড়িত

সংবাদটি শেয়ার করুন