শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাঁঠালের ফলন ভালো, দাম কম

কাঁঠালের ফলন ভালো, দাম কম

কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার ইউনিয়নগুলোর গ্রামীণ বাজারগুলোতে জমজমাট কাঁঠালের বাজার। এবারে কাঁঠালের ফলন অনেক ভালো হওয়ায় বাজারগুলোতে অনেক কাঁঠাল দেখা যায়। কাঁঠাল বিক্রেতারা সস্তাদরে কাঁঠাল বিক্রয় করছেন।

সরেজমিন উপজেলার ইউনিয়নগুলোর গ্রামীণ বাজারগুলোর মধ্যে দুর্গাপুর, মিনাবাজার, উলিপুর, জুম্মাহাট, নাগড়াকুড়া, বজরা, থেতরাই, দলদলিয়া বাকরের হাটসহ আরও অনেক বাজারে ঘুরে দেখা যায়, কাঁঠালের ব্যাপক আমদানি। বাজারগুলোতে কানায় কানায় ভরে গেছে কাঁঠাল দিয়ে। কাঁঠালের সস্তাদাম থাকলেও কেনাবেচা কম হচ্ছে। কাঁঠাল পিচ প্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  কাঁঠাল কেনার চাহিদা অনেক কম ক্রেতাদের। এখন মধু মাস। এমাসে কাঁঠালের আমদানি অনেক হয়। প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে গাছে গাছে কাঁঠাল দেখা যায়। তারা নিজের বাড়ির চাহিদা মেটার পরেও দু’চারটা বাজারে নিয়ে এসে বিক্রি করছেন।

উক্ত বাজার গুলোর কাঁঠাল ক্রেতার মধ্যে জাহাঙ্গীর, সাহেব, জামাল, সাইদুল, রহমান, জায়দুল বলেন, আমরা কাঁঠাল কিনতে এসেছি। আমাদের বাসায় কাঁঠালের গাছ না থাকায় পরিবারের চাহিদা পুরুন করতে বাজারে কাঁঠাল কিনতে এসেছি। বাজারে অনেক কাঁঠাল এসেছে দামেও সস্তা। তাই আমরা ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে বেশ কয়েকটি অনেক বড় কাঁঠাল কিনেছি।

কাঁঠাল বিক্রেতা হারুন, সোলায়মান, রওশন, ইলিয়াস সহ আরও অনেকে বলেন, আমরা কাঁঠাল বিক্রি করতে এসেছি। এসে বিপাকে পড়েছি। বাজারে অনেক কাঁঠাল এসেছে কিন্তু ক্রেতা অনেক কম। কাঁঠাল কেনার চাহিদা অনেক কম ক্রেতাদের। তারা আরও বলেন যে হেতু এখন কাঁঠালের মৌসুম তাই কাঁঠাল ক্রেতা অনেক কম। প্রাই লোকের বাড়িতে কাঁঠালের ব্যাপক ফলন হয়েছে। সে কারনেই বাজারে কাঁঠাল বেচাকেনা কম হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  ভালুকায় কঠোর অবস্থানে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন

কাঁঠালের ব্যাপারী সৈয়দ আলী বলেন, কাঁঠাল ব্যাপক আমদানি হয়েছে। আমরা কমদামে কাঁঠাল কিনে বেশিদামে বিক্রি করি। তিনি আরও বলেন কাঁঠালের প্রতি পিচ ক্রয় করি ১৫ থেকে বিশ টাকা তা বাজারে বিক্রয় করি ২৫ থেকা ৫০ টাকায়। তার পরেও কাঁঠাল কেনার চাহিদা অনেক কম। তিনি আরও বলেন কাঁঠাল বেচাকেনা হলে অনেক টাকা আয় হত।”

সংবাদটি শেয়ার করুন