ঢাকা | রবিবার
১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জলাবদ্ধতায় সীমাহীন দুর্ভোগ

জলাবদ্ধতায় সীমাহীন দুর্ভোগ

পূর্বভাগ জমিদার ১৯১৪ সালে পূর্বভাগ চাকলা পরিদর্শনে এসে ফুলের সেীরভে চাকলার নাম রাখলেন “ফুলবাড়ী”। তবে সে ফুলবাড়ী আর ফুলবাড়ী নেই। সেই পানি আর পানি। অল্প বা সামান্য বৃষ্টি হলেই হাটুঁপানিতে তলিয়ে যায় উপজেলা সদর। অবিরাম বৃষ্টির কারণে জমে থাকা পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নেই পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা। যে ড্রেনটি রয়েছে সেটিও আবর্জনায় পরিপূর্ণ। পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ।

উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা কৃষি অফিস, উপজেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা প্রকৌশলী, নির্বাচন অফিস, সাব-রেজিস্টি অফিস, সেটেলমেন্ট অফিস, প্রাণি সম্পদ অফিস, সমাজসেবা কার্যালয়, খাদ্য অফিস, উপজেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা অফিসসহ উপজেলা কমপ্লেক্স মসজিদের প্রবেশ রাস্তাটিতে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। নেই কোনো পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা। পাশের ড্রেনটিতে আবর্জনা ফেলিয়ে পরিপূর্ণ করে রেখেছে। মাঝে মাঝে এটি লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হলেও সেটি কাগজ কলমে।দেখার কেউ নেই। ফলে দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ফুলবাড়ীবাসীকে।

অন্যদিকে উপজেলা ভূমি অফিস, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, কাচারি জামে মসজিদ, কেন্দ্রীয় কাচারি মাঠ শহীদ মিনার, কেন্দ্রীয় মন্দির মাঠে এখন হাটুঁপানি। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় দিনের পর দিন পানি জমে থাকে। বর্তমানে ওই অফিস গুলোসহ মসজিদে কোন নামাজি যাওয়া আসাসহ মন্দিরে পূজা আর্চনায় যেতে পারে না। ইউএনও হাটু পানিতে জীপগাড়ি চালিয়ে যেয়ে অফিস করেন। পুরো ফুলবাড়ী বাজারে নেই কোনো পানি নিষ্কাশনের কার্যকর স্থায়ী ব্যবস্থা। এ কারণে বৃষ্টির পানি শহরের কাছা বাজার, মাছ বাজার, মাংস বাজার, অবস্থা খুবই নাজুক। অন্যদিকে উপজেলা শহরের ভেতর ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তা নিচু হওয়ায় মলযুক্ত নোংরা ও ময়লা পানিতে রাস্তায় লোকজন যাতায়াত করতেও দুর্ভোগ পোহায়।

মনোয়ারা ট্রেডার্সের মালিক হেলালুর ইসলাম বাবু জানান, উপজেলা শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অফিস কাচারি মাঠের ভূমি অফিসসহ অন্যান্য অফিস প্রবেশ রাস্তায় মাত্র ১৫ থেকে ২০মিনিটের বৃষ্টিতে এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কেন স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করা না হয় জানি না। মানুষজন মসজিদে জলাবদ্ধতার কারণে নামাজ পড়তেও যেতে পারে না। জলাবদ্ধতার কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা সরকার, খোরশেদ আলম, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মুকুল মিয়া, রিপনসহ অনেকেই জানান, জলাবদ্ধতা সৃষ্টির প্রধান কারণ হলো অপরিকল্পিত নগরায়ণ। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাব। ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ছাড়াই বাসা-বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে হাজারও মানুষজন। বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে।  যে ড্রেন রয়েছে সেগুলো আবর্জনায় পরিপূর্ণ। পানি নামতে পারছে না। সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হলে নদীমুখী বড় ড্রেনের ব্যবস্থা নিতে হবে।

জানতে চাইলে ইউএনও সুমন দাস বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়টি দুর্যোগ ব্যবস্থপনা মিটিং আলোচনা করা হয়েছে। যত দ্রত সম্ভব পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন