- সাতক্ষীরা থেকে বিষমুক্ত এ আম রপ্তানি হচ্ছে ২০১৫ সাল থেকে
বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে ইউরোপ যাত্রা করেছিল সাতক্ষীরার সুস্বাদু আম হিমসাগর। ২০১৫ সালে সাতক্ষীরাকে ম্যাংগো ক্যাপিটাল হিসাবে ঘোষণা দিয়ে শুরু হওয়া এ আম রপ্তানি এখনও অব্যাহত রয়েছে। রপ্তানি তালিকায় এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হংকংসহ আরও কয়েকটি দেশ।
মধুমাস জ্যৈষ্ঠের এ খরতপ্ত সময়ে বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে রপ্তানিযোগ্য আম গাছ থেকে পাড়া শুরু হয়। গত ৫ মের পর থেকে কয়েক দফায় পরীক্ষামূলকভাবে গোবিন্দভোগ ও হিমসাগর হংকং, জার্মানি ও লন্ডনসহ কয়েকটি দেশে পাঠানো হয়। এদিকে গত বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরার কলারোয়ার ইলিশপুরে জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির আনুষ্ঠানিকভাবে রপ্তানিযোগ্য বিষমুক্ত নিরাপদ আম পাড়ার কাজ উদ্বোধন করেন। এসময় সেখানে সাতক্ষীরা কৃষি অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নুরুল ইসলামসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সাতক্ষীরা থেকে এ আম ক্রয়কারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান উত্তরণ সলিডারিডেট তা সংগ্রহ করে বিদেশে পাঠানো শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির বলেন, সাতক্ষীরার খ্যাতি ধরে রাখার জন্য এবারও বিষমুক্ত নিরাপদ আম দেশে ও বিদেশে বাজারজাতকরন করা হচ্ছে। সম্পূর্ন্ন পুষ্ট, মিষ্ট এ আমের কদর রয়েছে সারাবিশে^। আমরা এর সুনাম ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
জেলা কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক নুরুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর সাতক্ষীরার ৫২ হাজার বাগানের ৪ হাজার ১১৫ একর জমিতে ১৩ হাজার কৃষক আম চাষ করেছেন। তাদের মধ্যে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনের জন্য আমরা ৫শ’ চাষিকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়েছি। কোনো প্রকার কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই ফেরোমেন ফাঁদের মাধ্যমে পোকামাকড় দমন করে এবং বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করে এ আম উৎপাদন করায় তা অত্যন্ত নিরাপদ হয়ে উঠেছে। চলতি বছর সাতক্ষীরা জেলা থেকে ১০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানির কথা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজারের মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।
কলারোয়ার ইলিশপুরের আমবাগান মালিক মো. ডাবলু বলেন, আমের উৎপাদন এবার কম। তবে দাম কিছুটা বেশী পাওয়ায় ক্ষতিপূরণ করে নেওয়ার চেষ্টা করবো। প্রতিবছরই আমার বাগান থেকে বিদেশে আম পাঠানো হয়। আজ আমি আরও ২০০ কেজি হিমসাগর জাতের আম ক্রেতাদের হাতে তুলে দেই।