শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ফরিদগঞ্জের রাজনীতি-

ভাইলীগে ভরপুর রাজনীতি

ভাইলীগে ভরপুর রাজনীতি
  • আদর্শহীন হাইব্রিডদের জয়জয়কারে মুখর রাজনীতি
  • ভাই লীগ শুধু এখানে নয়, সারা বাংলাদেশেই আছে: আবু সুফিয়ান শাহীন, আহ্বায়ক, উপজেলা যুবলীগ, ফরিদগঞ্জ
  • ফরিদগঞ্জে কর্মীদের ওপর নেতাদের আস্থা নাই, নেতাদের ওপরও কর্মীদের আস্থা নাই: তোপায়েল আহম্মেদ ভুঁইয়া, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা
  • ফরিদগঞ্জে ভাই লীগ নামধারী কিছু বেয়াদবের সৃষ্টি হয়েছে: ওয়াহিদুর রহমান রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামী লীগ, ফরিদগঞ্জ
  • ফরিদগঞ্জ আওয়ামী লীগে সুবিধাবাদীর হাত ধরে কিছু মাদকসেবী, চোরের দল অনুপ্রবেশ করেছে: আবু সাহেদ সরকার, সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামী লীগ, ফরিদগঞ্জ

চারিদিক ঘিরে জেঁকে বসেছেন অনুপ্রবেশকারীরা (হাইব্রিড)। নেই আদর্শের মূল্যায়ন, হতাশ আদর্শে বিশ্বাসী কর্মীরা। চারপাশে তোষামোদকারীদের জয়জয়কার। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠনে এখন তোষামোদকারীদের অবস্থা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ, আদর্শের চর্চা বাদ দিয়ে ‘ভাই রাজনীতিতে’ ব্যস্ত সবাই। ফলে ভাই রাজনীতির দাপটে কোনঠাসা দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। একই রকম অবস্থা আরেক রাজনৈতিক দল বিএনপিতেও। ভাইদলে ভরপুর এখন বিএনপির রাজনীতি।

দুদলের ত্যাগী নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বড় দু’দলেই বিড়াজ করছে চরম বিশৃঙ্খলা আর অস্থিরতা। দ্বন্দ্ব, সংঘাত, গ্রুপিং, উপ-গ্রুপিংয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। দুটি দলেই সাংগঠনিক শৃঙ্খলা কিংবা ঐক্যের বিচারমানদণ্ডে হতাশ দলীয় সিনিয়র নেতাকর্মীরা। ইতিবাচক কোনো সম্ভাবনাও দেখছেন না তারা। বরং জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে বড় ও মধ্যম সারির নেতার অনুসারীদের মধ্যে দূরত্ব ততই বাড়ছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের রাজনীতিতে এখন ‘ভাইলীগ’ই শেষকথা। দলীয় আদর্শের রাজনীতি বলতে কিছুই নেই। আওয়ামী লীগে ঐক্য নেই। দলের চাইতে ভাই লীগ এখানে বেশি শক্তিশালী। যারা যতক্ষণ ভাইয়ের স্বার্থ হাসিলসহ মন জুগিয়ে চলতে পারে, ততক্ষণ তারা ভাইয়ের ডান আর বাম হাত। তাদের হাতেই থাকে সবকিছু। যে কোনো বিষয়ে তারা যা বলে, তাই সিদ্ধান্ত। অনেকক্ষেত্রে প্রশাসনও তাদের সমীহ করে চলে।

নেতাদের মতে, অন্তঃকোন্দলে ক্ষতবিক্ষত ফরিদগঞ্জ আওয়ামী লীগের গ্রুপ-উপগ্রুপগুলো। তিনটি গ্রুপ সমানভাবে সক্রিয়। বর্তমান সংসদ সদস্য সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়া এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান আলাদাভাবে এ তিনটি গ্রুপ পরিচালনা করেন। পাশাপাশি সম্প্রতি শিল্পপতি জালাল আহম্মেদের অনুসারি একটি গ্রুপও এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। প্রতিটি পক্ষই দলীয় কমিটি গঠন, পদ-পদবী, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে মনোনয়নসহ নানা বিষয় নিয়ে প্রায়ই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নেতাদের অনুসারিরা কাদা ছোড়াছোড়িতেও বেশ পটু।

আরও পড়ুনঃ  পটুয়াখালীতে জাল ভোট দেওয়ার সময় ৩ কিশোর গ্রেফতার

একদিকে যেমন ভাই লীগে নাকাল আওয়ামী লীগ অন্যদিকে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে পরিবারতন্ত্র। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ আকড়ে ধরে আছে একই পরিবারের সদস্যরা। এক দশক আগে গঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী। যদিও এ কমিটির মেয়াদ বহু আগেই শেষ হয়েছে। তাঁর মেয়ে অ্যাডভোকেট নাজমুন নাহার অনি উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ভাতিজা জহিরুল ইসলাম উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।

অপরদিকে পৌর আওয়ামী লীগেও হ-য-ব-র-ল অবস্থা। এ কমিটির মেয়াদও বহু আগেই শেষে হয়েছে। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন রতনের মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন ধরে এ পদটি শূন্য রয়েছে। এছাড়া উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে কয়েকজন নেতার মৃত্যুজনিত কারণে পদশূন্য রয়েছে।

এদিকে টানা ১৩ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও দলের দুর্দিনের সঙ্গী ত্যাগী নেতাকর্মীদের বড় অংশই এখন অসহায়। তেমনিভাবে হাইব্রিডদের অনেকেই পদ-পদবিতে আসীন। ভাই লীগের নেতারা ভবিষ্যতে ক্ষমতার রাজনীতির রোডম্যাপ ঠিকঠাক রাখতে বিকল্প নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে চান না। বরং রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রে রূপ দিতে নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিজস্ব শক্তির সক্রিয় বলয় তৈরিতে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তাদের। যার ফলে কখনো ওপেন, আবার কখনো গোপনে নতুন কর্মীরা সব ভাইয়ের সঙ্গেই সর্ম্পক রাখছেন।

এমনকি উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল পদে থাকা নেতারাও আজ এক ভাই তো কাল আরেক ভাইয়ের সঙ্গে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলীয় কর্মকাণ্ড সমন্বয় করে দলের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ করার কথা থাকলেও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের কর্মীদের। এমতাবস্থায় গ্রুপিং এর কারণে নাকাল উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের আদর্শিক কর্মীরা।

এবিষয়ে ক্ষুব্ধ এক আওয়ামী লীগ কর্মী বলেন, যারা কেবল শুধু জ্বি হুজুর, জ্বি হুজুর করতে পারেন; পদ-পদবি, সুযোগ-সুবিধা তারাই লুটছেন। ত্যাগীরা উপেক্ষিত। দলীয় রাজনীতি ও সংগঠন নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই বললেই চলে। রাজনীতি করে অনেকের ভাগ্যে পরিবর্তন হলেও অদ্যাবধি উপজেলা আওয়ামী লীগের নিজস্ব একটি কার্যালয় হয়নি।

ওই কর্মী বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতি ৩ বছর অন্তর কমিটি হওয়ার কথা থাকলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির মেয়াদ এক দশক পার করেছে। সবশেষ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছিলো সেই ২০১২ সালে। বর্তমানে ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগের যে কোনো কর্মসূচি পৃথক ৩ থেকে ৪টি ব্যানারে পালিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে দলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে জেলা আওয়ামী লীগের ভূমিকা সর্বমহলে প্রশ্নবৃদ্ধ।

আরও পড়ুনঃ  আ. লীগ নেতার বাড়ি থেকে ১৩৮ বস্তা ত্রাণের চাল!

দলটির আর একটি সূত্র জানিয়েছে, এ অপরাজনীতির বিরুদ্ধে ৮০ ও ৯০ দশকে ফরিদগঞ্জে ছাত্রলীগের নেতৃত্বদানকারী দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের একটি অংশ সোচ্চার ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক প্ল্যাটফর্মে সমবেত হওয়ার চেষ্টা করছেন। চাইছেন কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ। তাদের প্রত্যাশা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই দলের এ দুর্বৃত্তায়নের বৃত্ত ভাঙতে কঠোর হবেন। বৃহত্তর স্বার্থে ত্যাগী নেতাকর্মীদের পাশে থাকবেন, মূল্যায়ন করবেন।

এছাড়াও,ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগে ভাই লীগের পাশাপাশি পরিবারতন্ত্রের যে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে তা ভেঙে আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ঢেলে সাজাবেন বলে আশা করছেন সূত্রটি।

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তোপায়েল আহম্মেদ ভুঁইয়া বলেন, ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগ জগাখিচুড়ি হয়ে গেছে। এখানে দলে কোনো শৃঙ্খলা-নিয়ন্ত্রণ নেই। কর্মীদের ওপর নেতাদের আস্থা নাই, নেতাদের ওপরও কর্মীদের আস্থা নাই। নেতাদের সঙ্গে কর্মীদের আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে সম্প্রতি চাঁদপুরে জেলা আওয়ামী লীগ ফরিদগঞ্জের কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে নিয়ে চাঁদপুরে সভা করেছেন।

তোপায়েল আহম্মেদ ভুঁইয়া বলেন, আমি মনে করি নিজেদের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি ছেড়ে সবাইকে এক জায়গায় নিয়ে আসা গেলে আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত থাকবে। তবে বর্তমানে লেজে গোবরে অবস্থার মধ্যে ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগের সু-সংগঠিত হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি আমি দেখছি না। দলের পরীক্ষিত, ত্যাগী ও যোগ্যদের দিয়ে কমিটি গঠন করলে আগামীতে এ সংকট থেকে উত্তরণ হওয়া যেতে পারে।

দলে বিশৃঙ্খলার কারণে হতাশা ব্যক্ত করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বিআরডিবিরি সভাপতি আব্দুস সালাম আজাদ জুয়েল বলেন, ফরিদগঞ্জে আ. লীগে যোগ্য নেতৃত্ব সংকটের কারণে গ্রুপিং ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ভাই লীগই এখানে শেষ কথা। আর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির মেয়াদ বহু আগেই শেষ হয়েছে।

পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন মনির বলেন, দলীয় নীতিনির্ধারকরা রাজপথের সাবেক ছাত্রনেতাদের সমন্বয়ে তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে উপজেলা ও পৌর আ.লীগের কমিটি গঠন করলে গ্রুপিং বিলুপ্ত হওয়ার পাশাপাশি দল চাঙ্গা হবে।

উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান শাহীন বলেন, ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগে সমন্বয়হীনতার অভাব রয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমানকে জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়ে ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝান্ডা হাতে পাঠিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে  উপজেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কর্মসূচি নিয়ে তার সঙ্গে কোনো সমন্বয় করছে না। এক প্রশ্নের জবাবে আবু সুফিয়ান শাহীন বলেন, ভাই লীগ শুধু এখানে নয়, সারা বাংলাদেশেই আছে। তবে আমি বলবো ফরিদগঞ্জে যুবলীগ আতঙ্ক নয়, একটি মানবিক সংগঠন।

আরও পড়ুনঃ  ছালছাবিল পরিবহণের অর্ধশত কর্মীকে উপহার দিলো নিসআ

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান রানা বলেন, প্রকৃত আওয়ামী লীগ কর্মীদের কাছে ভাই লীগের কোনো স্থান নাই। এখানে বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রীর আওয়ামী লীগই শেষ কথা। তবে, এটা সত্য ফরিদগঞ্জে ভাই লীগ নামধারী কিছু বেয়াদবের সৃষ্টি হয়েছে। যারা দলে অনুপ্রবেশ করে দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠন করলে দলে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা থাকবে না। এখানে আ. লীগ ঐক্যবদ্ধ-শক্তিশালী হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিদ্দুকুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়া যখন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ছিলেন তখন ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ বেশ সংগঠিত ছিলো। তবে ২০১৮ সালের পর থেকে ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগে হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে। শুধুমাত্র যোগ্যদের মাধ্যমে কমিটি গঠন করলে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব। তবে, এখানে ভাই লীগ আছে বলে আমি মনে করি না। একটা বড় দলে গ্রুপিং থাকতেই পারে।

নেতাকর্মীদের নানা অভিযোগের বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার বলেন, ফরিদগঞ্জ আওয়ামী লীগে কোনো গ্রুপিং নেই। তবে যে কথা বলা হচ্ছে, আমি তাকে গ্রুপিং বলবো না। মূলত কিছু সুবিধাবাদী লোক তাদের নিজস্ব স্বার্থ হাসিল করার জন্য গ্রুপিং এর চেষ্টা করছে। এদের হাত ধরে আ. লীগে কিছু মাদকসেবী, চোরের দল অনুপ্রবেশ করেছে। এদের কারণে শুধুমাত্র দলই নয়, সমাজ এবং রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের মেয়াদহীন কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে কথা বলেছি। যতদ্রুত সম্ভব ফরিদগঞ্জে কাউন্সিল দেওয়ার জন্য। কারণ বর্তমান কমিটির অনেকেই অসুস্থ। আবার অনেকেই মারা গেছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীর বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও অসুস্থ থাকার কারণে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন