শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে যৌনবৃত্তিতে নিয়োজিত করায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড

ভারতে যৌনবৃত্তিতে নিয়োজিত করায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড

ভালো বেতনে চাকরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে বিক্রি ও পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দু’জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক আঃ সালাম খান গতকাল বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন। এ মামলায় অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হল মোঃ শাহীন খান ও তার স্ত্রী আসমা বেগম ওরফে সালমা। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ রুবেল খান।

আদালত সূত্র জানায়, ভিকটিম নারী খুলনার বিআইটি রোডের খানবাড়ি এলাকার শওকত ডাক্তারের ভাড়াটিয়া। ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে ভিকটিমকে ভারতে ভাল চাকরির প্রলোভন দেখায় ওই এলাকার শাহীন ও তার স্ত্রী আসমা বেগম ওরফে সালমা। বিষয়টি প্রথমে সে তার মাকে জানায়। ভিকটিম পরবর্তীতে ভাল চাকরির বিষয়টি এলাকার মানুষকে জানালে তারা নিষেধ করে। ওই বছরের অক্টোবর মাসের ১৯ তারিখ সকাল থেকে ভিকটিমের সন্ধান না পেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে তার মা। এর কিছুদিন পরে জানতে পারে তার মেয়ে ভারতে রয়েছে। তাকে বিক্রি করে চৌহাটি কানাডা ব্রীজ গনেশের বাড়িতে রেখে জোর পূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হচ্ছে।

পরবর্তীতে শাহীন খানের সাথে যোগযোগ করা হলে জানানো হয় ২০ হাজার টাকা দিলে নির্যাতিত মেয়েকে মুক্তি দেওয়া হবে। এ ব্যপারে দুইজনের নাম উল্লেখ করে লাকী বেগম খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১০ সালের ২০ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অসীম কুমার ঘোষ আসামি শাহীন খান ও তার স্ত্রীসহ আরও ৫ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ওই আদালতের স্পেশাল পিপি ফরিদ আহমেদ।

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  টমেটো ঘিরে ২০০ কোটি টাকার বাণিজ্য সম্ভাবনা

সংবাদটি শেয়ার করুন